ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট, ২০২২ ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫২ বার
ডলার বাজারে স্বস্তির খবর। কয়েকদিনের ব্যবধানে ১৩ থেকে ১৫ টাকা কমে খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা। সংশ্লিষ্টদের আশা, আগামীতে দাম আরও কমবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে দাম চলে আসতে পারে ১০০ টাকার নিচে। তবে ডলারের মান কমায় মাথায় হাত মজুদকারীদের। বিক্রি করে দিচ্ছেন হাতে থাকা সব ডলার। এদিকে, কারসাজি করে ডলার বাজার অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ১০টির বেশি ব্যাংকের ওপর নজরদারি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মহাসংকটে বৈশ্বিক অর্থনীতি। এরমধ্যে কমে আসে দেশের রেমিট্যান্সের প্রবাহ। সব মিলে সংকটে পড়ে ডলারের বাজার। প্রতি ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২০ টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার সরবরাহ করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারছিল না।
তবে অবশেষে শক্তিশালী হচ্ছে টাকা। কমছে ডলারের চাহিদা।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক বলেন, আগে যে পরিমাণ এলসি হতো। এখন এলসির পরিমাণ কমে গেছে। প্রচুর রেমিট্যান্স আসছে। দুটো মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন একটা ভালো অবস্থায় আছে।
ডলারের দাম কমায় মাথায় হাত মজুদকারীদের। বড় ক্ষতির আশঙ্কায় তড়িঘড়ি করে বিক্রি করে দিচ্ছেন জমানো ডলার।
এক ব্যক্তি বলেন, আমার কাছে আট হাজার ডলার আছে। যেহেতু বাজার নেমে যাচ্ছে, সেজন্য বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। যদি রাখি পরবর্তীতে আরও কমে গেলে লস হয়ে যাবে।
ব্যাংকাররা বলছেন, টাকার সুদিন আসতে আর বেশি দেরি নেই। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতি ডলারের দাম নামতে পারে ১০০ টাকায়।
সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, ১০০ টাকার মধ্যে আসতে হয়তো ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। তবে আগস্ট মাসের শেষের দিকে রেট কমে ১০২ থেকে ১০৩ টাকায় নেমে আসতে পারে। সেপ্টেম্বরে সেটা ১০০ টাকার নিচে নামতে পারে।
এদিকে, সংকটের সুযোগ নিয়ে ডলার বিক্রি করে রাতারাতি আকাশ ছোঁয়া মুনাফাকারী ১২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুখপাত্র জানান, কারসাজিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমডিদের চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে তাদের মতামত চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ডলার কারসাজির অভিযোগে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানের অব্যাহতিসহ ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।