স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট, ২০২২ ২১:৪৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৯৮ বার
আসন্ন এশিয়া কাপে অংশ নিতে আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আগামী ২৭ আগস্ট থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটের এই টুর্নামেন্ট।
ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ ও ওপেনিং ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ছাড়া স্কোয়াডের সব সদস্যই আজ বিমানে করে যাত্রা করেছে। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চুড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবেই এ আসরকে দেখছে অংশগ্রহনকারী দলগুলো।
ভিসা জটিলতার কারণে দলের সঙ্গে যাত্রা করতে পারেননি তাসকিন ও বিজয়। ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় দলের সঙ্গে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তাসকিন। সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে আগামীকাল যাত্রা করবেন তিনি।
এছাড়া সেন্ট লুসিয়া থেকে সরাসরি দুবাই যাবেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকা নাইম শেখ। বিসিবি কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজ মাঠে সর্বশেষ সংক্ষিপ্ত ভার্সনে অংশ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাজে পারফর্মেন্সের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন এই ব্যাটার। এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি হাকানোর পুরস্কার হিসেবে ফের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন নাইম শেখ। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পালন করবেন নবনিযুক্ত টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরণ শ্রীরাম। প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বোর্ড। তিনি শুধু টেস্ট ও ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পালন করবেন।
এশিয়া কাপে বি’ গ্রুপের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে টাইগাররা। গ্রুপের বাকী দুটি দল হচ্ছে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা। ২৭ আগস্ট টুর্নামেন্ট শুরু হলেও বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৩০ আগস্ট। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের মোকাবেলা করবে তারা।
নিজ মাঠে ২০১২ সালে প্রথম এ টুর্নামেন্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। এর পর টুর্নামেন্টের সর্বশেষ চারটি আসরের তিনটিতেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফর্মেটের প্রথম আসরের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে পরাজিত হয়েছিল টাইগাররা। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটের ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফর্মেটের এশিয়া কাপেও ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল টাইগাররা। তবে ভারতের কাছে ওই আসরেও হার মানতে হয় বাংলাদেশকে।
এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে। যাতে এশিয়ার দলগুলো অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে পারে।