ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

‘২০২২ সালে করোনায় মারা গেছে ১০ লাখ মানুষ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


প্রকাশ: ২৬ অগাস্ট, ২০২২ ১৩:১৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৯১ বার


‘২০২২ সালে করোনায় মারা গেছে ১০ লাখ মানুষ’

ভ্যাকসিন নেয়ার পরেও ২০২২ সালে করোনাভাইরাসে (কোভিড -১৯) ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে। কোভিড প্রতিরোধের জন্য সমস্ত সরঞ্জাম বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও এই মৃত্যুকে একটি ‘দুঃখজনক মাইলফলক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় এ তথ্য দিয়েছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৪ লাখ ৫০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস বিশ্ব এ পর্যন্ত সত্যিই মহামারীর শীর্ষে ছিল কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই সপ্তাহে আমরা এ বছর পর্যন্ত ১০ লাখ লোকের মৃত্যুর মর্মান্তিক মাইলফলক অতিক্রম করেছি।’ যখন এই বছরে ১০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এ মারা গেছে, যখন আমরা মহামারীতে আড়াই বছর পেরিয়েছি এবং এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে, তখন ‘আমরা বলতে পারি না যে আমরা কোভিড-১৯-এর সাথে বাঁচতে শিখছি।

হু (ডব্লিউএইচও) প্রধান বলেন, ‘মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য আমরা সকল সরকারকে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্যের টিকা দান কার্যক্রম জোরদারের আহবান জানাচ্ছি।’

টেড্রোস আশা করেন, সব দেশ জুনের শেষ নাগাদ তাদের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকা দেয়া সম্পন্ন করবে। কিন্তু ১৩৬টি দেশ লক্ষে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে ৬৬টি দেশে এখনো ৪০ শতাংশের নিচে কভারেজ রয়েছে।

টেড্রোস বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘এটি দেখে আনন্দিত যে কিছু দেশ যেখানে সবচেয়ে কম টিকা দেয়ার হার রয়েছে তারা এখন জোরদার কার্যক্রম চালাচ্ছে, বিশেষ করে আফ্রিকায়।’

তিনি বলেন, মাত্র ১০টি দেশে ১০ শতাংশেরও কম কভারেজ রয়েছে, যার বেশিরভাগই মানবিক জরুরি অবস্থার সম্মুখীন। তবে আরো অনেক কিছু করা দরকার।

বিশ্বের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ টিকাহীন রয়ে গেছে, যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর তিন-চতুর্থাংশ বয়স্ক ব্যক্তি।

‘সব দেশের সর্ব স্তরের আয়ের লোকদের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকা দেয়ার জন্য, জীবন রক্ষাকারী থেরাপিউটিকগুলোতে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে, পরীক্ষা ও সিকোয়েন্সিং চালিয়ে যেতে এবং সংক্রমণ সীমিত করে জীবন বাঁচাতে উপযোগী, আনুপাতিক নীতি নির্ধারণ করতে হবে।’ সূত্র : বাসস


   আরও সংবাদ