ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:০৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩১৪ বার
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিলের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায় প্রদানকারী বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের স্বাক্ষরের পর শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৭ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ আগেই জানিয়েছেন, প্রকাশিত এই রায়ের বিরুদ্ধে এখন লিভ টু আপিল দায়ের করা হবে।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪১(১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি।
ওইদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভুঁইয়া, রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
রায়ের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালত রায়ে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪১(১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি বলে ঘোষণা করেছেন।
আদালত বলেছেন যে- সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আছে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। তারপরও ৪১(১) ধারা করে সেখানে সরকারি কর্মচারীদেরকে আলাদাভাবে একটি সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। তা কেনোভাবেই সংবিধান সম্মত নয়, এ আইনি একটি মেলাফাইড (অসৎ) উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের রায় আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬(১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয় ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে।
আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’