ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪৫ বার
অফিসে কাটে দিনের একটা বড় অংশ। এ সময়ে সহকর্মীরাই কাছের মানুষ। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাটা জরুরি। অনেক সময় না চাইলেও কারও কারও সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কিছু বিষয় আছে যেগুলোতে তাদের সঙ্গে জড়ানো মোটেও ঠিক হবে না।
আসুন জেনে নেই সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ কেমন হবে-
ধারদেনা
হঠাৎ কখনও এক-দুইবার বিপদে পড়ে কিছু টাকা ধার নেয়া যেতেই পারে। কিন্তু নিয়মিতভাবে অথবা প্রতি মাসে টাকার জন্য হাত পাতলে বিষয়টি অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়। এ ক্ষেত্রে সেখানে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এ ছাড়া ধার করা টাকা ঠিক সময়মতো ফেরত না দিতে পারার মতো বিষয় ঘটলেও দেখা যাবে কাজের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক খারাপের দিকে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত আড্ডা
আড্ডাবাজিটা আসলে বন্ধুদের সঙ্গেই ভালো মানায়। সহকর্মীর সঙ্গে অফিসের সময় আড্ডা দেয়া কখনই ক্যারিয়ারের জন্য ভালো ফল বয়ে আনে না।
প্রেম-ভালোবাসা
অফিসে কোনো সহকর্মীকে ভালো লাগলে অনেকে সরাসরি প্রস্তাব দিয়ে বসেন। এটি মারাত্মক ক্ষতিকর ক্যারিয়ারের জন্য। অফিস প্রেম-ভালোবাসার জায়গা নয়।
অতি প্রশংসা
একান্ত কাছের কেউ অথবা ঘনিষ্ঠজন ছাড়া কোনো সহকর্মীর কাজের প্রশংসা সরাসরি করা উচিত নয়। এতে করে সহকর্মী আপনার করা প্রশংসাগুলোর কিছু অহেতুক কারণ ভেবে বসতে পারে এবং যার ফলে ভুল বোঝাবুঝিও সৃষ্টি হতে পারে।
নেতিবাচক না হওয়া
যে কোনো টিমওয়ার্কের ক্ষেত্রে সরাসরি কাউকে নেতিবাচক কিছু বলা মেটেও উচিত নয়। কাজ করার ক্ষেত্রে মোটামুটি সবাই কোনো না কোনো চাপে থাকেন। তাই কখনই নেতিবাচক কিছু না বলে বিপরীতে কাজটা কীভাবে করলে আরও ভালো করে করা যেত সে সমাধান দেওয়া উচিত।
ভেবেচিন্তে কথা বলা
সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার আগে সঠিক শব্দ বাছাইয়ের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সব মানুষ এক রকম হয় না। কিছু এমন মানুষ থাকে, যে হয়তো আপনার কঠিন কথা শুনেও সহ্য করে নেবে; আবার এমনও মানুষ আছে যে, হয়তো আপনার সাধারণ কথাতেও অনেক প্রতিক্রিয়া দেখাবে। তাই সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে চিন্তাভাবনা করে।
নিজেকে জাহির না করা
যে কোনো কাজ করা নিয়ে সবসময় নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করবেন না। আবার ঘন ঘন নিজের নামিদামি জিনিস কিংবা বাড়ি-গাড়ির স্বপ্নের কথাও সবাইকে বলতে যাবেন না। এতে করে আপনার প্রতি সহকর্মীর ঈর্ষার জন্ম হতে পারে। পরবর্তীতে সেই ঈর্ষা থেকে কাজের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সহযোগিতার হাত আপনার জন্য না-ও থাকতে পারে।
ব্যক্তিগত ও শারীরিক বিষয়ে আলোচনা না করা
নিজের যাবতীয় শারীরিক সমস্যা সেগুলো একান্তই আপনার নিজের। এটি মানুন আর নাই মানুন তবু আপনার যাবতীয় সব শারীরিক সমস্যা নিয়ে আপনার সহকর্মীদের মাথাব্যথা নেই বললেই চলে।
কর্মক্ষেত্রে অন্য চাকরির আলাপ না করা
আপনি যেই চাকরি করছেন সেটি আপনার ভালো লাগছে না, আপনি অন্য কোথাও যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন এমন কথা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। যে কোনো সময় আপনার সহকর্মী নিজের অজান্তেই তা ফাঁস করে দিতে পারে বসের কাছেও।