ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩১৯ বার
বেশিরভাগ অভিধানে সাক্ষরতা বলতে সাধারণত পড়তে এবং অন্তত একটি ভাষায় লিখতে পারার সক্ষমতাকে বোঝানো হয়৷ কাজেই সাক্ষরতা অর্থ হলো পড়তে ও লিখতে পারার সক্ষমতা। আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’।
গবেষকদের মতে, ১৯৫০ সালের আগে সাক্ষরতা এবং পরবর্তী সময়ের সাক্ষরতার সংজ্ঞায় পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৫০ সালের আগে সাক্ষরতা বলতে সাধারণত অক্ষর চেনার সক্ষমতা বোঝানো হতো৷ ১৯৫০ এর পরবর্তী সময়ে সাক্ষরতা বিষয়টি প্রসারিত হতে থাকে। কার্যকরী সাক্ষরতা (ফাংশনাল লিটারেসি) শব্দটি জন্মলাভ করে৷ সাক্ষরতার ঐতিহাসিক ধারণা প্রসারণের পর সাক্ষরতা বলতে বোঝানো হয়- রচনামূলক লেখাপড়া, শিক্ষা ও গবেষণা, নৃতাত্ত্বিক ভাষাগত দক্ষতা ইত্যাদি। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের বাইরেও লিখতে ও পড়তে পারার ক্ষমতা। উল্লেখ্য, লেখা ও পড়া সংস্কৃতিগত দিক থেকে কখনো আলাদা বিষয় ছিলো না। অক্ষরগত দক্ষতা অর্জনের উদ্দেশ্যে একদম গোড়ার দিকে শুধু বিদ্যালয়ের প্রচলন ছিলো।
আবার আভিধানিক অর্থে সাক্ষরতা হলো অক্ষর পরিচিতি, লেখা ও পড়ার ক্ষমতা। অর্থাৎ যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয় পড়ে, সেটা লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হয় তাহলে তাকে সাক্ষর বলে। UNESCO-র বিশেষজ্ঞ কমিটি সাক্ষরতার সংজ্ঞা দিয়েছে, ‘A literate person is one who can, with understanding, both read and write a short simple statement on his or her everyday life.’ একজন ব্যক্তির পাঠের ক্ষমতা অক্ষর পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পাঠের বিষয়ের বোধগম্যতা ও লিখে নিজের মনের ভাব-প্রকাশের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাক্ষরতা শব্দটি দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়- ব্যবহারিক সাক্ষরতা এবং আনুষ্ঠানিক সাক্ষরতা। ব্যবহারিক সাক্ষরতা বলতে বোঝায় লেখা, পড়া এবং গণিতের সাধারণ জ্ঞান অর্জন করা। আর আনুষ্ঠানিক সাক্ষরতা হলো- প্রচলিত স্কুল, কলেজে পড়ে যে শিক্ষা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, সাক্ষরতা হারকে শুধু নিজের নাম স্বাক্ষর করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সময় শেষ হয়েছে। সাক্ষরতার সঙ্গে সক্ষমতার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।