স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৯৫ বার
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে খাঁদের কিনারায় চলে যাওয়া শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ করল এশিয়া কাপের ১৫তম আসর। গ্রুপ পর্বে আফগানদের কাছে আসরের প্রথম ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হবার উপক্রম হয়েছিল শ্রীলঙ্কার।
ওই এক হারের পর আর হারতে হয়নি লঙ্কানদের। দাসুন শানাকার দুর্দান্ত নেতৃত্বে একের পর এক জয় তুলে ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে ২৪ রানে। ১৭০ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে গুটিয়ে যায় ১৪৭ রানে।
দুবাই স্টেডিয়ামে টস জয়ী দলের পক্ষেই যাচ্ছিল ম্যাচের ফলাফল। চলতি আসরে ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচ ছাড়া সব ম্যাচেই রান টস জয়ী দল জিতেছিল ম্যাচ।
আজ পাকিস্তানও টস জিতে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কাকে। তবে ঘটেছে উল্টো। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা লঙ্কান শিবিরে। পাওয়ার প্লে-তে ৩৬ রান তুলতেই টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার কুশল মেন্ডিস (০), পাথুম নিশাঙ্কা (৮) ও ধানুষ্কা গুনাথিলাকাকে (১) হারাতে হয়।
এরপর ধনঞ্জয়া ডী সিলভা ২৮ রানে ফেরার পর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান ভানুকা রাজাপাকসা। দুজনের ৫৮ (৩৬) রানের জুটি ভাঙে ৩৬ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার বিদায়।
চামিকা করুনারত্নেকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি বেঁধে ভানুকা তুলে নেন অর্ধশতক। পাকিস্তানি বোলারদের হতাশ করে ৪৫ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে শ্রীলঙ্কা তুলে ৬ উইকেটে ১৭০ রান। দলের পক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভানুকা হয়েছেন জয়ের নায়ক।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভারেই বোনাস রান পায় পাকিস্তান। দিলশান মাধুশাঙ্কা ওয়াইড, নো বল মিলে ১ বলেই দেন ১০ রান। বাজে শুরুর পর পর ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা।
চতুর্থ ওভারে প্রমোদ মাধুশান দুই বলেই তুলে নেন বাবর আজম (৫) ও ফখর জামানের (০) উইকেট।
এরপর আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি পাকিস্তান। ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান একপ্রান্ত আগলে থেকে খেলেন ওয়ানডে মেজাজে। ৪৯ বলে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। ইফতিখার আহমেদ খেলেন ৩১ বলে ৩২ রানের ইনিংস।
শেষ দিকে বলের থেকে রান বেশি হয়ে যাওয়ার চাপ সামলে উঠতে ব্যর্থ পাকিস্তানকে মাশুল দিতে হয় হার দিয়ে।
লঙ্কানদের পক্ষে ৪ উইকেট নেন প্রমোদ। ৩ উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২টি উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে আর ১ উইকেট নেন মাহেশ থেকশানা।