স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২১ বার
করোনা মহামারি কাটিয়ে ২০২১-২২ মৌসুমে স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার মোট লাভ হয়েছে ৯৮ মিলিয়ন ইউরো। চলতি মৌসুমে লাভের পরিমান ২৭১ মিলিয়ন ইউরো বাড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
বার্সার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত মৌসুমে সর্বমোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১.১০৭ বিলিয়ন ইউরো। এর মাধ্যমেই মহামারীর পর প্রথমবারের মত ক্লাব লাভের মুখ দেখেছে। এ বছর আয়ের পরিমান ১.২৫৫ বিলিয়ন ইউরো বাড়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে ক্লাবের ঘরোয়া ম্যাচগুলোর জন্য টেলিভিশন স্বত্ব থেকে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সিক্স স্ট্রিটের কাছে বিক্রি করার সুফল পাচ্ছে ক্লাব। স্বত্ব বিক্রির পরিমান ছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থবছরের সর্বশেষ দিন ৩০ জুনের আগেই বিক্রির পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। যে কারনে এর লভ্যাংশ সর্বশেষ অর্থবছরের সাথে যোগ হয়েছে।
জুনের পর বার্সেলোনা তাদের টিভি স্বত্ব থেকে আরো ১৫ শতাংশ সিক্স স্ট্রিটের কাছে জুলাইয়ে বিক্রি করেছে যার পরিমান ৩০০ মিলিয়নেরও ওপর। একইসাথে বার্সা স্টুডিওর শেয়ার থেকে দুটি শেয়ার বাবদ ২৪.৫ শতাংশ ছেড়ে দিয়েছে যার পরিমান ২০০ মিলিয়ন ইউরো। এসবই ২০২২-২৩ অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লভ্যাংশে যোগ হবে।
করোনা মহামারিতে ২০২০-২১ মৌসুমে ক্লাবের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে দারুনভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বার্সেলোনা। ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর উপরে ক্ষতির কারনে কাতালান জায়ান্টরা দলের মূল তারকা লিওনেল মেসির সাথে চুক্তি নবায়নে অস্বীকৃতি জানায়। যে কারনে ফ্রি-ট্রান্সফার সুবিধায় আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার পিএসজিতে যোগ দিতে বাধ্য হন।
তবে সবকিছুকে পিছনে ফেলে আবারো ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বার্সেলোনা। তারই প্রেক্ষিতে এবারের গ্রীষ্মে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করে রবার্ট লিওয়ানদোস্কি, রাফিনহা ও জুলেস কুন্ডেকে কিনে নিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। এছাড়া ফ্রি-ট্রান্সফারে দলে যোগ দিয়েছেন ফ্রাংক কেসি, আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন, মার্কোস আলনসো ও হেক্টর বেলেরিন। এর সুফলও মাঠে তারা ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছে। লা লিগায় এখনো তারা অপরাজিত আছে। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ছয় ম্যাচ পরে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়।