আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর, ২০২২ ২১:০৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৯৯ বার
ইরানে হিজাব-কাণ্ড ক্রমশ বড় হচ্ছে। বাড়ছে প্রতিবাদীদের মৃত্যুর সংখ্যা। ইরানের পথে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ বন্ধ করতে গুলি চালিয়েছে পুলিস, করেছে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্য়াসও ছুঁড়েছে। ইরানে হিজাব-কাণ্ডে পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ।
আরসা পানাহি। উত্তর পশ্চিম ইরানের আরদাবিল শহরের ছাত্রী। ১৬ বছর বয়সি পানাহিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। মাহসার পর এবার আরসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়েছে। ছাত্রীদের বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ আরো কড়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পুলিশ তাকে মারেনি। তার হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। তাতেই সে মারা গেছে।
২২ বছর বয়সি মাহসা আমিনি-র মৃত্যুর ক্ষেত্রেও একই যুক্তি দিয়েছিল পুলিশ। হিজাব না পরার অপরাধে পুলিশ যাকে ধরে নিয়ে যায় এবং পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। তারপর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইরান। মাহসার মৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই আরসার মৃত্যুর খবর এসেছে। ফলে বিক্ষোভ আরো জোরদার হয়েছে।
পানাহির মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেছে
গত ১৩ অক্টোবর পুলিশ আরদাবিলের স্কুলে যায় এবং ছাত্রীদের ইসলামিক রিপাবলিকের প্রশস্তিতে গান গাইতে বলে।কিছু পড়ুয়া তা গাইতে অস্বীকার করে। তাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়। আরসা ছিল তাদের মধ্যে একজন। শুক্রবার হাসপাতালে সে মারা যায়। আরসার মৃত্যুর খবর দাবানলের মতো ইরানে ছড়িয়ে পড়ে।
ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ সংবাদসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, আরসার কাকা বলেছেন, সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। কিন্তু এরপরই সুইমিং ফেডারেশনের ওয়েবসাইটের একটি তথ্য ভাইরাল হয়। সেখানে বলা ছিল, আরসা ১২ বছর বয়সে ওই অঞ্চলের সাঁতার প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছে। পরে ওই তথ্য ফেডারেশনের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়।
আরদাবিলের মেয়র নতুন তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, আরসার বাড়িতে গোলমাল চলছিল। সে ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশের মারে তিন ছাত্রীর মৃত্যু
সাবেক ফুটবল প্লেয়ার আলি দায়েই ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ''আপনারা সত্যি কথা বলছেন না। আমি জানি আমার শহরে কী হয়েছে।'' ৫৩ বছর বয়সি আলি জার্মানির বুন্দেশলিগায় বেশ কয়েকটি দলের হয়ে খেলেছেন।
আরসার ঘটনাই প্রথম নয়, গত চার সপ্তাহ ধরে কর্তৃপক্ষ এরকম আরো কয়েকটি মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে।