ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২২ ১২:১৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩১৪ বার
আসছে শীত। প্রকৃতি এখন সাজছে নতুন সাজে। শীতের আগমনে গ্রাম-বাংলার আবহাওয়ায় ধীরে ধীরে আসছে পরিবর্তন। বাংলার শীতকে উপযোগী জেনে প্রতি বছরই অপেক্ষাকৃত বেশি শীতের অঞ্চলগুলো থেকে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি।
এদেশে আসতে তাদের কোনো পাসপোর্ট ভিসা লাগে না। এই অতিথিরা বাংলার প্রকৃতিতে ঠাঁই নেয়, প্রিয় অতিথি হয়ে থাকে গোটা শীতের মৌসুম। তাদের কলতানে মুখরিত হয় দেশের বিভিন্ন জলাভূমি। এসব পাখির পাখা ছড়িয়ে দেয়া উড়ে চলার সৌন্দর্য বাংলার আকাশকে করে তোলে আরও সুন্দর।
সে ধারাবাহিকতায় এবারও এ সৈকতে আসতে শুরু করেছে পাখি। আগামী কয়েক মাস সেখানে এই অতিথি পাখির দেখা মিলবে।
তীব্র শীত থেকে বাঁচতে উত্তর মঙ্গোলিয়া, তিব্বতের একটি অংশ, চীনের কিছু অঞ্চল, রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে আসে পাখিগুলো। আবার মার্চের শেষ দিকে যখন এ অঞ্চলে গরম পড়তে শুরু করে ও শীতপ্রধান এলাকায় বরফ গলা শুরু হয় তখন আবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পাখিগুলো নিজ এলাকায় ফেরত চলে যায়।
পরিযায়ী পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বাটন, গুলিন্দা, জৌরালি, গাঙচিল, পানচিল, জিরিয়াসহ রঙ বেরঙের অসংখ্য হাঁস। এদের বেশিরভাগই জলচর। মূলত উপকূলীয় দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে এরা আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে অন্যতম কুয়াকাটার বিজয় চর, লেবুর বন বা ফেরাই পল্লী, গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চরসহ কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি।
কয়েক মাসের অতিথি হয়ে পাখিগুলো এ দেশে আসে। তবে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে পাখিরা ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন এবং মাটিকে উর্বর করে তোলাসহ জলজ পরিবেশকে সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিন্তু আবাসস্থল ধ্বংস এবং অবৈধ শিকার করায় এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আগের মতো আর দেখা যায় না।