আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২৯ বার
অপরাধ বলতে সুদের টাকা সঠিক সময়ে শোধ দিতে পারেননি তিনি। তাই সরকারি কর্মী রুদ্রভৈরব মুখার্জিকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেঁধে ফেলা হলো রেল লাইনে। তারপর ট্রেনের আঘাতে তার পা হয়ে গেল ছিন্নভিন্ন। অন্য পা-ও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেনে কাটা পড়েছে তার বাঁ-পা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) হাসপাতালে শুয়ে রুদ্রভৈরব সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সুদে টাকা ধার নিয়েছিলাম। অফিসের এক সহকর্মী ও তার বন্ধুর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। সেই টাকা শোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা সুদের টাকা বাবদ কয়েক লাখ টাকা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল। আর তারপর থেকে সুদের টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছিল। তারপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবলুন গ্রামের বাড়ি থেকে কাটোয়ার বাড়িতে ফেরার সময় দু’জন মোটরবাইকে করে এসে আমার পথ আটকায়। আর কিছু একটা খাইয়ে দেয় আমাকে।’
এতে খানিকটা অচেতন হয়ে পড়লে তার হাত–পা বেঁধে ফেলা হয়। আর রেল লাইনের ধারে রেখে দেয়া হয়। সেখান দিয়ে দ্রতগতিতে ট্রেন যাওয়ার সময় তার পায়ে আঘাত করে। তখনই তার একটি পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আর একটি পা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়া আজিমগঞ্জ লাইনের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশনের অম্বলগ্রাম রেল লাইনে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রুদ্রভৈরব মুখার্জি একজন সরকারি কর্মী। তিনি বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। তখন সুদ দিতে হবে বলা হয়নি। মূল টাকা শোধের কথা হয়েছিল। সেই টাকা শোধ দেয়ার পর সুদ নিয়ে চাপ দিতে শুরু করেন ওই বন্ধুরা। সেই সুদের টাকা সময়মতো দিতে পারেননি রুদ্রবৈভব। তখন পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনায় জিআরপি এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরিবারের পক্ষে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস