আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩০৮ বার
সাময়িকভাবে টুইটারের সব কার্যালয়ের ভবন বন্ধ করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত শিগগির কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে তারা। কর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী সোমবার, ২১ নভেম্বর পুনরায় খুলে দেওয়া হবে অফিস।
তবে এ পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক কর্মীদের অনেককে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পর এবং বিপুল সংখ্যক কর্মীর পদত্যাগ করার মাঝে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা গেলো।
টুইটারের পাঠানো ওই ক্ষুদে বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও কোম্পানির তথ্য নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন এবং কোম্পানির নীতি মেনে চলুন’।
তবে এ তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিবিসির কাছে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এ সপ্তাহে ইলন মাস্ক কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, তাদের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাজ করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে বা কোম্পানি ছেড়ে চলে যেতে হবে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক বলেছেন, কর্মীরা যারা থাকতে চান তাদের কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। যারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ ধরনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন না তাদের ৩ মাসের বেতন কাটা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টুইটার কর্মী বিবিসিকে বলেছেন, তারা পদত্যাগ করেন যদিও তারা মাস্কের বর্ধিত কাজের চাপ নিতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন একজনের জন্য কাজ করতে চাইনি যিনি আমাদেরকে একাধিকবার ইমেলের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন যে যারা দক্ষ শুধু তাদের এখানে কাজ করা উচিত’। ওই টুইটার কর্মী আরও বলেন, ‘আমি সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ ঘণ্টা করে কাজ করছিলাম’।
সম্প্রতি চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূল্যে টুইটার কিনে নেন বিশ্বের এই ধনকুবের। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই টুইটারের শীর্ষ নেতাদের বরখাস্ত করেন তিনি। এরপর টিমের সদস্যদের নিয়ে টুইটারের সফটওয়্যার কোডসহ অন্যান্য বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। ভেঙে দেন পরিচালনা পর্ষদও।
গত ২৭ অক্টোবর এক টুইটে টুইটার কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইলন মাস্ক নিজেই বিশ্বের জনপ্রিয় এ সোশ্যাল মিডিয়া কেন কিনলেন, এর ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা কী সে বিষয়েও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন টেসলা সিইও। এরপর তিনি নিজেই টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নিয়েছেন। ঢেলে সাজাতে শুরু করেন পুরো প্রতিষ্ঠানটি। তবে এরইমধ্যে টুইটার ছেড়েছেন শীর্ষ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।