ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২৩ বার
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার তাদের হালনাগাদ গোয়েন্দা তথ্যে বলেছে, বুধবার রাশিয়া তাদের এক দিনে বৃহত্তম ঋণ ইস্যু করেছে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, ইস্যুকৃত ঋণ ‘প্রতিরক্ষা ব্যয় মেটানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
ইস্যুকৃত ঋণের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার সংগ্রহ করা হয় বলে, টুইটারে পোস্ট করা ওই গোয়েন্দা তথ্যে জানানো হয়।
২০২৩ সালের জন্য রাশিয়া ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করেছে। এই অঙ্ক ২০২১ সালে ঘোষিত ২০২৩ সালের প্রাথমিক বাজেট থেকে ৪০ শতাংশেরও বেশি।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, নিলামের মাত্রাটি খুব সম্ভবত এই বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে যে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় মনে করে যে বর্তমান পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনুকূলে রয়েছে। কিন্তু এ আশঙ্কাও করছে যে আগামী বছর জুড়ে একটি ক্রমবর্ধমানভাবে অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করবে।
এদিকে, রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ এমন সময়ে একটি পূর্ণ শাটডাউনের বিষয়ে সতর্ক করছে, যখন কি-না দেশটিতে শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিশকো বলেন, কর্তৃপক্ষ শহরটির বৈদ্যুতিক গ্রিড পুনরায় চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
রাশিয়ার বিমানহামলা ইউক্রেনের রাজধানীর বৈদ্যুতিক গ্রিডের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। একইসাথে রাশিয়া, উত্তরের কিয়েভ থেকে শুরু করে দক্ষিণের ওডেসা পর্যন্ত, ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রায় অর্ধেক বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শামিহাল।
কিয়েভে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রভস্কিস’র সাথে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শামিহাল বলেন, রাশিয়া দুঃখজনকভাবে, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো, বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং শীতকালে তাদেরকে আলো, পানি সরবরাহ তাপ ও যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা অব্যাহত রেখেছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ১৫ নভেম্বর রাশিয়া ইউক্রেনের শহরগুলোতে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে, আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রায় অর্ধেক অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা