ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ২২:০১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫০ বার
ধর্ম মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পথ দেখাতে সাহায্য করে, আধ্যাতিকতার পরিপূর্ণতা দান করে বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘বিজয়া পুর্নমিলনী ও বাণী অর্চনা উদযাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিচারক প্রধান বলেন, প্রত্যেক মানুষ যদি নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ সঠিকভাবে, খোলা মন নিয়ে পাঠ করেন এবং সেই সঙ্গে ধর্মীয় বিধান, অনুশাসন হ্নদয়াঙ্গম করেন, তাহলে অজ্ঞতার অন্ধকার কেটে যাবে। ধর্মের জন্য সব থেকে বিপজ্জনক হচ্ছে ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা। এই অজ্ঞতাই মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। ’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি সকল ধর্মকে, মানুষকে এক সারিতে আনতে পেরেছে। আনতে পেরেছে বলেই ভেদাভেদ ভুলে এদেশের মানুষ ভাষার জন্য আন্দোলন করে জয়ী হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। আমাদের গৌরবদিপ্ত অহংকার হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ। ’
সংবিধান ও আইনের বিধান মনে করিয়ে দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে পরিস্কার উল্লেখ আছে, এ দেশের সব মানুষের ধর্ম ও নিরাপত্তার অধিকার সমান। আইনের বিচারে সব ধর্মই সমান মর্যাদার সম্পন্ন। তাই যে কোনো ধর্ম অবমাননা বা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ’
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘ধর্ম যার যার কিন্তু বাংলাদেশটা আমাদের সবার। রাষ্ট্র সবার না হতলে নাগরিক রাষ্ট্রের সঙ্গে একাত্বতা অনুভব করতে পারে না। আর একাত্ম না হলে রাষ্ট্র নাগরিকের কাছ থেকে আনুগত্য আশা করতে পারবে না। ’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজকীবী দীপায়ন চন্দ্র সাহা।