ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩০৯ বার
হিজাব ইস্যুতে ইরানজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করবে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) জেনেভায় এক বৈঠকে তথ্যানুসন্ধান মিশন গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিল।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণী মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ করছে লাখো মানুষ। যা রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে। চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহিংসতায় এরইমধ্যে তিনশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। নিরীহ মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও হতাহত হয়েছেন।
শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে পশ্চিমারা। একইসঙ্গে ইরানের মানুষের পাশে থাকার ঘোষণাও দিয়েছে তারা। এবার ইস্যুটি নিয়ে সরব হয়েছে জাতিসংঘ।
ইরানে সরকারবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনা অনুসন্ধানে একটি মিশন গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিল। স্বাধীন এই তদন্তের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে ইরানকে শক্ত বার্তা দেয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার টার্ক বলেন, ইরানে যা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বহু মানুষ মারা গেছে। ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের অভিযোগে দেশটির অভ্যন্তরীণ তদন্ত আর্ন্তজাতিক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আর তাই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, এই ধরণের উদ্যোগের সমালোচনা করে ইরানের মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি খাদিজাহ কারিমি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মানবাধিকারকে ব্যবহারের বিষয়টি লজ্জার।
অন্যদিকে, ইরান নিয়ে পশ্চিমাগণমাধ্যমগুলো মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাঘেরি কানি।
তিনি বলেন, মাশা আমিনিকে হত্যা করা হয়নি, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টিকে ইস্যু তৈরি করে মিথ্যা ও ভুয়া খবর প্রচার করছে পশ্চিমা বেশকয়েকটি গণমাধ্যম। আজ যারা সোচ্চার হয়েছে, সেই পশ্চিমারাই ইরানের মানবাধিকার খর্ব করেছে।