আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:৫৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৭৭ বার
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন; কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আপাতত সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো অভিপ্রায় বা পরিকল্পনা আমাদের প্রেসিডেন্টের নেই এবং তার প্রধান কারণ পুতিন।’
‘পুতিন (বাইডেনের সঙ্গে) কোনো প্রকার সংলাপে যেতেই আগ্রহী নন; বরং প্রকৃতপক্ষে তিনি এর উল্টোটাই চান। আমাদের প্রেসিডেন্টও এ ব্যাপারটি লক্ষ্য করেছেন।’
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন জো বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন যদি সত্যিই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে তিনি পুতিনের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত আছেন।
মার্কিন ও ইউরোপীয় রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি এতটা অকপট ও খোলা মনের পরিচয় দিয়েছেন বাইডেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন অবশ্য বাইডেনের এই প্রস্তাবে তেমন ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। শুক্রবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘বাইডেন এখনও ঝাপোরিজ্জিয়া, খেরসন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়ার অংশ বলে স্বীকৃতি দেননি, এবং তিনি মূলত চান— পুতিন যেন ইউক্রেন ত্যাগ করেন। নিশ্চিতভাবেই এই শর্ত মস্কোর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’
হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে জন কিরবিকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন— যদি বাইডেনের সঙ্গে পুতিনের সংলাপ না হয়, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সংলাপের কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা।
উত্তরে কিরবি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের জন্যে আমাদের তরফ থেকে কোনো চাপ দেওয়া হবে না, রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন কেবল তিনিই।’
‘তবে পুতিন যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেন এবং ইউক্রেন থেকে সরে যান, সেক্ষেত্রে যুদ্ধ এখনই বন্ধ হতে পারে। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর উপস্থিতি থাকা উচিত নয়।’