ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:৪৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭০ বার
রাজধানী ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের খাবারের পেছনে মাসিক খরচ ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা। কিন্তু মূল্যস্ফীতির কারণে কম খাচ্ছে মানুষ।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ‘সংকটে অর্থনীতি, কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে?’ শীর্ষক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সংলাপে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
মূলপ্রবন্ধ তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তারচেয়েও বেশি হারে বাড়ছে স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া উর্ধ্বমুখী। এক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে।
লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন আমিষ।
সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে রাজধানীতে বসবাসরত চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসে খাদ্য ব্যয় ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা। এটাকে রেগুলার ডায়েট বলছে সিপিডি। এখানে ১৯টি খাদ্যপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মাছ-মাংস বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা। এটা ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসের খাদ্যতালিকা।
বেতন প্রতিবছর ৫ শতাংশ বাড়লেও সেটা রেগুলার ডায়েট এর ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির লাগামহীন অবস্থার কারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্য নয়, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। এটা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
সিপিডি বলছে, মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাত স্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে সবুজ উদ্যোগ বাড়ানোর বিকল্প নেই।
আরও বলা হয়, ব্যাংকখাত দুর্বল এখনও, সংস্কার পদক্ষেপ নেই। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ঋণ দেয়ায় অনিয়ম এখনও আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির অব্যাহত চাপ, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, দেশীয় মুদ্রামানের পতন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে আসা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন ইত্যাদি।
এ সংকট মোকাবিলায় জাতীয়ভাবে লক্ষ্যনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি বলে মনে করে সিপিডি।