ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলে রিজল ব্যাংকের আপিল

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী, ২০২৩ ১৩:০৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২৮ বার


রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলে রিজল ব্যাংকের আপিল

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলে ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) যে আবেদন করেছিল তা ইতোমধ্যে বাতিল করেছে নিউইয়র্কের আদালত। এবার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে ব্যাংকটি।

সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারি নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ক্ষেত্রে রিজল ব্যাংকের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যোগসাজশ ছিল। রিজল ব্যাংকের নিউইয়র্কের হিসাব এবং ফিলিপাইন শাখার অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না থাকলে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এ অর্থ অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

এ সময় আদালত আসামিদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে মধ্যস্থতারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ছিল রিজল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) তাদের আপিল আবেদনের খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিউইয়র্কের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাচার হওয়া এই অর্থ প্রথমে গিয়েছিল ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের রিজল ব্যাংকের ৪টি ভুয়া অ্যাকাউন্টে। তারপর সেখান থেকে দ্রুত এই অর্থ উত্তোলন করেন হ্যাকাররা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সহযোগিতায় দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অর্থ উদ্ধারে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক বা ফেডারেল আদালতে ফিলিপাইনের বেসরকারি খাতের রিজল ব্যাংকসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ওই মামলা বাতিলে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করে রিজল ব্যাংকসহ ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেডারেল আদালত ২০২০ সালের ২০ মার্চ মামলা বাতিলের ওই আবেদন খারিজ করে মামলাটি ফেডারেল আদালতের বদলে স্টেট কোর্টে পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর নতুন আদালতেও মামলা বাতিলের আবেদন করে রিজল ব্যাংকসহ ছয় আসামি। তাদের এ আবেদনের ওপর একাধিক দফায় শুনানি হয়।

অবশেষে গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে পক্ষে রায় দেয় নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট।


   আরও সংবাদ