ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৪২ বার
পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হয় এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এদিন কিছু বিপদগামী বিদ্রোহী বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এদিকে, বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর-বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তরে ১৪ বছর আগে হত্যাযজ্ঞের মামলা হাইকোর্টে নিষ্পত্তির পর এবার আপিল বিভাগে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে।
আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দেওয়ার প্রেক্ষিতে চলতি বছরেই এ মামলার আপিল শুনানি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
বিডিআর ট্র্যাজেডির ঘটনায় করা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার কাজ হাইকোর্টে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা এখনও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন আছে।
হত্যাযজ্ঞের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত।
এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান।
নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স আসে হাইকোর্টে। আপিল করেন আসামিরা। কয়েকজন খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় দেয়। এতে ফাঁসি বহাল থাকে ১৩৯ জনের। যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। খালাস পান ৪৫ জন।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রকাশ হয় ওই রায়ের ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি। এর মধ্যে ১১ হাজার ৪০৭ পৃষ্ঠার রায় বিচারপতি শওকত হোসেন লিখেছেন। ১৬ হাজার ৫৫২ পৃষ্ঠার রায় লিখেছেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী। আর ১ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার রায় লিখেছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
উচ্চ আদালতের মামলায় খালাস পাওয়া ও সাজা কমে যাওয়া ৮৩ জনের ক্ষেত্রে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আসামিপক্ষও লিভ টু আপিল করেছে আপিল বিভাগে।
এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অনেকের ফাঁসি হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে, সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও আপিল করে। পরে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে অনেকের সাজা কমেছে, অনেকের বহাল আছে।
তিনি বলেন, হাইকোর্টে রায়ে যাদের সাজা বহাল আছে তাদের মধ্যে ৩৩ জন আপিল বিভাগে আপিল করেছে। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা না দেওয়ায় শুনানি করা যাচ্ছিলো না। তাদের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য আমরা একটি ফাইল করেছি। এবার ৩৩টি ফাইল আসবে। এরপর তাদের যে সময় দেওয়া হবে সেই সময়ের মধ্যে যদি তারা সারসংক্ষেপ জমা না দেয় তাহলে তাদের আপিল ডিসমিস হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি এ বছরই মামলাটির শুনানি করতে পারবো।