ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ মার্চ, ২০২৩ ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩০ বার
২০৪১ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির সক্ষমতা অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগ (পিপিপি)। দেশের অর্থনীতি এই পর্যায়ে আসার পেছনে পিপিপি’র বড় অবদান রয়েছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত বিজনেস সামিটের শেষ দিনের প্যারালাল সেশনে এ সব কথা বলেন আলোচকরা।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আটটি সেশনে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে এফবিসিসিআই আয়োজিত বিজনেস সামিটের শেষ দিন অনুষ্ঠিত হয় আটটি প্যারালাল সেশন।
২০৪১ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের সক্ষমতা অর্জনের পথে পিপিপি কেমন ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে প্যারালাল সেশনে দেশি-বিদেশি আলোচকরা জানান, বাংলাদেশের পিপিপির বিনিয়োগ ছিল একটি সফল উদ্যোগ।
অলোচনায় অংশ নিয়ে কোরিয়া এম্বাসেডর নিহাদ কবির বলেন, বলা যায় পিপিপির সাফল্যই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল মন্ত্র। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে পিপিপিতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌরাত্ব কমিয়ে আনতে সরকারকে আরও ইতিবাচক হতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া এম্বাসির আবাসিক প্রতিনিধি লি জাং কিউন বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। এখানে স্যামসাং সাফল্যের সঙ্গে মোবাইল উৎপাদন করছে। আগামীতে আমরা হাইটেক ও পোশাক খাতে বিনিয়োগ বাড়াব।
এদিকে, বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ কতটা লাভজনক। এ নিয়ে এক সেশনে অঞ্চলগুলোর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিনিয়োগকারীরা দেরিতে এলে প্লট নাও পেতে পারেন।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর প্লট ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে নীলফামারী, গাইবান্ধা ও মংলা অঞ্চলে এখনো কিছু প্লট খালি রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত আসতে হবে।
দেশের স্মার্ট অটোমোবাইল খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে এক প্যারালাল সেশনে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, যথাযথভাবে ব্র্যান্ডিং করা গেলে বিশ্বে বাংলাদেশ হবে স্মাট অটোমোবাইল উৎপাদন কেন্দ্র।
ওষুধ শিল্প নিয়ে এক সেশনে বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, বাংলাদেশের বছরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানির সক্ষমতা রয়েছে।