ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২৩ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪২৩ বার
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, ও পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আঁতাত করে নেওয়া ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। আবার অনেকে ছাড়ের আশায় ইচ্ছা করে ঋণ শোধ করছে না। এমন পরিস্থিতিতে আদায়ে কঠোর না হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সহায়তা দিচ্ছে। এ সুযোগে ঋণ নিয়মিত দেখানোর পথ পেয়ে যাচ্ছেন খেলাপিরা। কখনো বিশেষ ব্যবস্থায় পুনঃতফসিল, কখনো পুনর্গঠনের মাধ্যমে খেলাপি ঋণের আসল তথ্য থেকে যাচ্ছে আড়ালে। এসব কারণে খেলাপি সঙ্গে ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ বাড়ছে। সুবিধা পাওয়া এসব ঋণের অর্থ আগামীতে ফেরত পাবে কি-না এ নিয়ে সন্দেহ আছে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা বলছেন, শিথিলতার আগে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে হলে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ জমা দিতে হতো। এখন তা আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ জমা দিলেই করা যাচ্ছে। আগে এসব ঋণ পরিশোধের সময় ছিল সর্বোচ্চ দুই বছর। এখন ৫ থেকে ৮ বছর সময় পাচ্ছে। এছাড়া আগে বিশেষ সুবিধায় ঋণ নিয়মিত করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগত। এখন সেই ক্ষমতা পুরোটাই ব্যাংকগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই বোর্ড গ্রাহককে ইচ্ছে মতো সুবিধা দিয়ে পুনঃতফসিল করার সুযোগ দিয়েছে। এ জন্য ব্যাংক খাতে অস্বাভাবিকভাবে পুনঃতফসিল করা ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৮ জুলাই পুনঃতফসিল নীতিমালায় শিথিলতা আনার পরই গত বছরের শেষ ছয় মাসে অস্বাভাবিক চিত্র দেখা যায়। ২০২২ সালের (জানুয়ারি-জুন) এ ছয় মাসে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয় পাঁচ হাজার ৯৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর শেষ ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) সময় ২৩ হাজার ৩১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পুনঃতফসিল করা হয়। ২০২১ সালের শেষ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এর পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ১১৬ কোটি টাকা।