ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৩ মার্চ, ২০২৩ ২২:০২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৪৭ বার


ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের রান পাহাড়ে চাপা পড়েছিল আয়ারল্যান্ড। আজ নিজের আগে ব্যাটিং নিয়ে অবস্থা আরও খারাপ হলো। বাংলাদেশের পেস আক্রমণে মাত্র ১০১ রানে অল-আউট হয়ে হারতে হলো ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

 

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে অলআউট করে ১৩.১ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে তামিম ইকবাল বাহিনী। এর মাধ্যমে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও নিশ্চিত হয়েছে টাইগারদের।

 

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এর আগে ৭ ম্যাচে ৯ উইকেটে জেতার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। কিন্তু কোনো ম্যাচেই ১০ উইকেটে জেতেনি টাইগাররা, এ তথ্য বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে খারিজ করে দিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। 

 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত তামিম ৪১ রানে ও লিটন ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

 

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এর আগে ৭ ম্যাচে ৯ উইকেটে জেতার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। কিন্তু কোনো ম্যাচেই ১০ উইকেটে জেতেনি টাইগাররা, এ তথ্য বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে খারিজ করে দিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। 

 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত তামিম ৪১ রানে ও লিটন ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

 

এর আগে হাসান মাহমুদের ৫ উইকেটে ১০১ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। টাইগার পেসারদের তোপে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি অ্যান্ড্র বালবার্নিদের। সফরকারী শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তার তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্টেফেন দোহেনি। হাসানের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮ রানে আউট হন স্টেফেন। দোহেনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে। পরের উইকেট শিকারিও হাসান। দলীয় অষ্টম ওভারের শুরুতেই তিনি নেন পল স্টার্লিংয়ের উইকেট। ফুল লেংথের এক ডেলিভারিতে বল পায়ে লাগার পর স্টার্লিং রিভিউয়ের আবেদনই করেননি, ফিরে যান প্যাভিলিয়নের পথে। আইরিশ ওপেনার ১২ বলে করেন ৭ রান।

 

একই ওভারে হাসান শূন্য রানে হ্যারি টেক্টরকেও তুলে নেন। পেসারদের সেই দাপট অব্যাহত থাকে তাসকিন বল হাতে নিলে। টেক্টর ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ শিকার করেন অ্যান্ড্রু বালবার্নির উইকেট। ১৮ বলে বালবার্নি করেন ৬ রান। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আয়ারল্যান্ড চাপ সামাল দিচ্ছিল কার্টিস ক্যাম্ফার ও লর্কান টাকারের ব্যাটে। তারা প্রায় অর্ধশত রানের জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই টাকারকে শিকারে পরিণত করেন এবাদত হোসেন।

 

পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেন এবাদত, তাতে আয়ারল্যান্ডের ৪২ রানের জুটি ভাঙে। প্রথমে টাকারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে পরের বলে জর্জ ডকরেলকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশি পেসার। টাকার ৩১ বলে করেন ২৮ রান। ডকরেল নামের পাশে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি। পরের ওভারে তাসকিন বল করতে এসে তুলে নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে। একই ওভারে তিনি মার্ক অ্যাডারের উইকেটও পান।

 

বিধ্বস্ত আয়ারল্যান্ডের হাল ধরে খেলছিলেন ক্যাম্ফার। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার পরাস্ত হন হাসান মাহমুদে। ৩৬ রানে তাকে তাসকিনের ক্যাচ বানান মাহমুদ। আইরিশদের সবশেষ উইকেটটিও যায় হাসানের ঝুলিতে। তাতে ওয়ানডে তো বটেই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন ডানহাতি পেসার, বিনিময়ে রান দিলেন ৩২। এ নিয়ে ৮ ম্যাচে তার ওয়ানডে উইকেট হলো ১৩টি।


   আরও সংবাদ