ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ মার্চ, ২০২৩ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২৪ বার
দফায় দফায় টানা প্রায় এক মাস বাড়ার পর রমজানের প্রথমদিন কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মুরগির দাম কমার সত্যতা মেলে। তবে আজও গতকালের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি, মাছ, মুদিপণ্য ও নানা পদের ফল।
কারওয়ানবাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালীর দাম ২০ টাকা কমে নেমেছে ৩৬০ টাকায় আর দেশি মুরগি ৬৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা জানান আগের তুলনায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তারা।
তবে ক্রেতারা বলছেন এখনও তাদের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে মুরগি ও ডিম।
এদিকে, বাজার তদারকিতে সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুরগির দাম সমন্বয়ের জন্য ডাকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফর। সেখানে ব্রয়লার মুরগির দাম পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কমিয়ে ১৯০ টাকা থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ‘মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হতে পারে না, সেখানে বৃহস্পতিবারও মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। অস্বাভাবিক মূল্যের কারণে করপোরেট হাউসগুলোর সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে ‘রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি’ নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শিগগিরই বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম না কমালে সরকার এগুলো আমদানির পথে হাঁটবে, আর তখন এফবিসিসিআই আপত্তি জানাবে না।
এসব কারণে মুরগির দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।