ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

জামালপুরে শিশু ধর্ষণের অপরাধে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫০৯ বার


জামালপুরে শিশু ধর্ষণের অপরাধে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর  প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে মক্তবে পড়ুয়া ৭ বছরের  ছাত্রীকে ধর্ষনের দায়ে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো: সাইফুল ইসলাম (২০) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার বেলা ১ টা ১০ মিনিটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক এম আলী আহমেদ এই রায় দেন। রায় ঘোষনার পর আসামী হাফেজ মো: সাইফুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরন করা হয়।

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি মো: আকরাম হোসেন জানায়, সাজা প্রাপ্ত হাফেজ মো: সাইফুল ইসলামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো: সাহাব আলী ওরফে ছাহার আলীর পুত্র । তিনি মোহাম্মদপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি আরো বলেন, হাফেজ মো: সাইফুল ইসলাম একজন নারী লোভী ও চরিত্রহীন

প্রকৃতির লোক। তিনি ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীর দাদার বাড়িতে থেকে মোহাম্মদপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াতেন এবং সপ্তাহে ছয়দিন ভোর বেলা মসজিদের বারান্দায় গ্রামের ছোট শিশুদের কায়দা পড়াতেন। ২০১৮ সালের ১৮ ই নভেম্বর ভোরে মক্তবে কায়দা পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরেন আসেন ৭ বছর বয়সি ওই ছাত্রী । সকাল  ইমাম হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলাম তার ঘর পরিষ্কার করার কথা বলে সেই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরে নিজের শয়নকক্ষে সেই শিশু ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে ইমাম সাইফুল।

এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামপুর থানায়  শিশু ছাত্রীর বাবা মোঃ ফরিদুল ইসলাম একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি  বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসলে বিচারক মামলার চাজশীটে ১৪ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করে ।

আসামী হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলামের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় ধর্ষন অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় আসামী সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এম আলী আহমেদ । রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি মো: আকরাম হোসেন এবং আসামীর পক্ষে আইনজীবি মোঃ আব্দুল্লাহ মামলাটি পরিচালনা করেন।


   আরও সংবাদ