ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৪ মে, ২০২৩ ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭৫ বার
রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ও ডলার সংকটের কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এতে করে চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে। ফলে রিজার্ভ আরও কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।
আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় কমেনি। এছাড়া করোনা পর বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে; যা এখনো অব্যাহত আছে। এ সংকট দিন দিন বাড়ছে। বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটির ধারাবাহিকতা কমছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ৩ মে দিনশেষ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৮ কোটি ডলার (৩০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন)। আগামী ৮ মে আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা-আকুর (মার্চ- এপ্রিল) আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে। এতে করে রিজার্ভ নেমে আসবে ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হয়, তাহলে এ অংক নেমে দাঁড়াবে ২২ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন ব্যবহারযোগ্য ২৪ বিলিয়ন নেট রিজার্ভ রয়েছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন তহবিল এবং ঋণ হিসাব যোগ করলে মোট ৩১ বিলিয়ন হবে। গত মার্চ-এপ্রিলের আকুর বিল পরিশোধ করলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ নেমে আসবে ২২ বিলিয়ন ডলারে।
দেড় বছর আগেরও এ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে এখন গ্রস ধরলে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, সেটা হচ্ছে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়।