আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ মে, ২০২৩ ১২:৩৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২০৫ বার
মালয়েশিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দিনের ‘পার্লামেন্ট ওপেন ডে’ উপলক্ষে দেশটির জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে মালয়েশিয়ার সংসদ। এর ফলে স্থানীয়রা এখন দেশটির সর্বোচ্চ আইনসভা এবং ইতিহাস হিসেবে এর ভূমিকা সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ মে) সকালের দিকে দেওয়ান রাকয়াতের স্পিকার দাতুক জোহারি আবদুল এবং মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের প্রধান প্রশাসক দাতুক নর ইয়াহাতি আওয়াংয়ের উপস্থিতিতে সংসদ ভবনের প্রধান পটকের দরজা খুলে দেয়া হয়। ‘পার্লামেন্ট ওপেন ডে’ উপলক্ষে ৬ থেকে ৭ মে পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
দিবসের কার্যনির্বাহী অনুষ্ঠানে তারা বলেন, এ ভবনটি বোঝায় যে সংসদে যে অধিকার রয়েছে তা জনগণের অধিকার। এ সময় বিভিন্ন সংসদ সদস্য, বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দেওয়ান নেগারা স্পিকার ড. রইস ইয়াতিম বলেন, 'মেরাকাতকান পার্লিমেন, ওয়ারিসান নেগারা' থিমযুক্ত ইভেন্টের জন্য সকাল ৯টার মধ্যে উপস্থিত দর্শকের সংখ্যা প্রমাণ করে দেশের আইনসভা জনগণের ভালো সমর্থন রয়েছে।
অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাষ্ট্রনায়কদের প্রদর্শনী, বই প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক ও শিল্পকলা প্রদর্শনী, ঐতিহ্যবাহী খাদ্য প্রদর্শনী এবং চিত্রকর্ম ও ব্যঙ্গচিত্রের পাশাপাশি খাদ্য, শিল্প ও কারুশিল্প বিক্রয়সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি সংস্থা, এনজিও এবং অস্ট্রিয়া ও ফিলিস্তিনি দূতাবাসের মোট ৪৮ জন প্রদর্শক এ মেলায় অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের রিসার্চ অ্যান্ড ইনট্রেটেশন অফিসারদের সহযোগিতায় 'পার্লামেন্ট অব মালয়েশিয়া: পিলার অব দ্য নেশনস ডেমোক্রেসি' শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ড. রইস ইয়াতিম।
দেশটির বেসরকারি খাতের কর্মচারী ৫২ বছর বয়সী শুম কেং ইয়ান ঐতিহাসিক ভবনের করিডোর বরাবর ঘুরে বেড়ানোর সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এটি দেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতীক। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমার সংসদে পা রাখার ইচ্ছা ছিল এবং অবশেষে আমি তা করতে পেরেছি। আমি আগে কেবল বইয়ের পাতায় পড়েছি এবং টেলিভিশনে দেখেছি, কিন্তু এখন আমি নিজেই জায়গাটি দেখতে পাচ্ছি, তাই আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। এমনকি দেওয়ান নেগারা ও দেওয়ান রাকায়াতকেও দেখতে পেরেছি।
একজন কলেজ শিক্ষার্থী আহমেদ আলিফ সোফি আহমাত জানান, ওপেন ডে ইভেন্টটি তাকে মালয়েশিয়ার আইন সভা সম্পর্কে আরও জানতে সহযোগিতা করবে, বিশেষত দেওয়ান রাকায়াত এবং দেওয়ান নেগারার ভূমিকা সম্পর্কে।
তিনি বলেন, দেশের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখানে কী করছেন তা আরও ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পাচ্ছি।