আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মে, ২০২৩ ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৪২ বার
অবশেষে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকেই বেছে নিল তুরস্ক। তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা দেওয়া এ নির্বাচনে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রতিপক্ষ কেমাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে আবারও দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববারের দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে ভোট গণনার শুরুতে কেমাল এরদোয়ানের থেকে অনেক পেছনে পড়ে থাকলেও পরে ব্যবধান কমিয়ে আনতে সক্ষম হন। তবে সব ভোট গণনার পর শেষ হাসি হাসেন
এরদোয়ান। এদিকে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পর থেকে এরদোয়ানভক্তরা রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন স্থানে উচ্ছ্বাস শুরু করেন।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত মোট ভোটের প্রায় ৯৮ শতাংশ গণনা করা হয়। এতে এরদোয়ান পান ৫২ দশমিক ২১ ও কেমাল পান ৪৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোট। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ভোটার এদিন ভোট দেন। ভোট প্রদানের হার ৮৫ শতাংশ। তুরস্কের এবারের জাতীয় নির্বাচনে চরম নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা গেছে। দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হতে হলে কোনো প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে; কিন্তু গত ১৪ মে প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। তাই নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফার ভোটে এরদোয়ান ৪৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কেমাল পেয়েছিলেন ৪৫ শতাংশ। প্রথম দফার ভোটের ফলে এরদোয়ানের চেয়ে প্রায় ২৫ লাখ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন কেমাল। আর সিনান ওগান ছিলেন তৃতীয় অবস্থানে। তার ঝুলিতে যায় ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে সিনান সমর্থন দেন এরদোয়ানকে। এরদোয়ানকে সিনানের এ সমর্থনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের ফের ক্ষমতায় আসাটা সময়ের ব্যাপার ছিল বলে মনে করছিলেন অনেকে।