ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ জুন, ২০২৩ ২২:৩৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪৫ বার
আমরা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট যারা আছি তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি প্রস্তাবিত বাজেটে। দুটো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাকে পূর্ণাঙ্গ সেক্টর হিসেবে বাজেটে বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু এবারও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে সংযুক্ত করে শিক্ষা বাজেট দেওয়া হয়েছে। সেটা হয়ত ঠিক আছে একদিক দিয়ে; কিন্তু সে অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয় হলো—বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী অনেক কিছু বলেছেন। উচ্চাশা ব্যক্ত করেছেন। স্মার্ট নাগরিক, দক্ষ জনশক্তি এবং আগামীর স্বপ্ন পূরণসহ অনেক কিছু বলেছেন। কিন্তু তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মানব সক্ষমতা বিনির্মাণে বিনিয়োগের জায়গাটায় সংগতিপূর্ণ কিছু দেখিনি।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বললেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ জিডিপির ২ শতাংশের ওপর ছিল, সেখানে ২২-২৩ অর্থবছরে এটি কমে ১ দশমিক ৮৬ ছিল, এবার সেটা নেমে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশে এসেছে। বাজেটে যে কথাগুলো এসেছে তার সঙ্গে বরাদ্দের কোনোরকম সাযুজ্য দেখছি না। আরেকটি বিষয়, নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বড় তিনটা চ্যালেঞ্জ হলো—শিক্ষকদের দক্ষতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এবং শিক্ষার্থীদের যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে কোভিডের সময় সেটা নিরসনের কোনো দিকনির্দেশনা বাজেট বক্তব্যে নেই।
এমনকি ভিশন ২০৪১-এ আছে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আছে, জিডিপির ন্যূনতম ৪ শতাংশ শিক্ষায় ব্যয় করতে হবে। এতদিনেও এটি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের কথা বলেছে কিন্তু তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে কোনো পরিকল্পনাই নিচ্ছে না। আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মনোযোগ ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বাজেটে এমন কোনো দিকনির্দেশনা পেলাম না। আমরা আশা করব বাজেটটি গৃহীত হওয়ার আগে আমাদের নীতিনির্ধারকরা এগুলো বিবেচনাপূর্বক শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াবে। বিনিয়োগ হলেই হবে না স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার মাধ্যমে ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।
রাশেদা কে চৌধুরী: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও নির্বাহী পরিচালক, গণস্বাক্ষরতা অভিযান