স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই, ২০২৩ ২১:৩৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২১৭ বার
৬ বলে ৬ রানের সহজ সমীকরণ। করিম জানাতের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ (৫ বলে ২ রান) আরো সহজ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু মারমুখী হতে গিয়ে মিড উইকেটে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন। এরপর টানা দুই বলে তাসকিন ও নাসুম আউট হলে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২ উইকেটের জয় তুলে নেন শরীফুল ইসলাম।
সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর অর্ধশতকে ১৫৪ রানের লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে এক বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করে বাংলাদেশ।
শুক্রবার ১৫৫ রানের জবাব দিতে নেমে আফগান বোলারদের তোপে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের ওপেনার রনি তালুকদারকে বোল্ড করেন ফজলহক ফারুকী। ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হাসান শান্ত দেখে শুনে খেলতে থাকেন। কিন্ত দলীয় ৩০ রানের সময় দুর্ভাগ্যবশত বোল্ড আউট হয়ে (১৪) ফেরেন মুজিবের বলে। শান্তর বিদায়ের ৯ রানের ব্যবধানে আরেক ওপেনার লিটন (১৮) ফেরেন ওমরজাইয়ের বলে। অধিনায়ক সাকিব (১৯) ফিরলে ম্যাচ আফগানদের দিকে ঝুলে পড়ে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেন মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। ১৩৭ রানে ব্যাক্তিগত (৩৩) রান করে আউট হন তিনি। ১৯ তম ওভারে করিম জানাত হ্যাট্রিক করেও বাংলাদেশের জয় আটকাতে পারেনি। তাওহীদ হৃদয় (৪৭) রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আফগানদের পক্ষে করিম জানাত ১৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ওপেনার জাজাইকে (৮) হারায় আফগানিস্তান। বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম বলে ফিরে যান আফগান ওপেনার। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার গুরবাজকে (১৬) সাজঘরে পাঠান পেসার তাসকিন আহমেদ। টপ অর্ডার ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরানকে (৮) ফেরান বা-হাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাতকে (৩) ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
৫২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর নাজিবুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে মূল্যবান ৩৫ রানের জুটি গড়েন নবী। নাজিবুল্লাহকে (২৩) লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করে জুটি ভাঙেন মিরাজ। অলরাউন্ডার ওমরজাই ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বলে ৪ ছক্কায় (৩৩) ঝড়ো ইনিংস খেলে সাকিবের বলে আউট হন। একপ্রান্ত আগলে রেখে নবী ফিফটি তুলে নিয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রানে অপরাজিত থাাকেন। বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক সাকিব দুইটি, নাসুম, তাসকিন, মিরাজ ও শরীফুল একটি করে উইকেট শিকার করেন।