আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই, ২০২৩ ১২:৫৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৩২ বার
বিশ্বের ৫২টি দেশের হাতে তাদের ঋণের বোঝা কমানোর কোনো উপায় নেই। এসব দেশ ধীরে ধীরে ঋণখেলাপি হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্বকে এভাবেই সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। খবর আরটি।
তিনি বলেন, ‘এসব দেশে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু এই দেশগুলো তাদের স্বাস্থ্য বা শিক্ষা খাতের চেয়ে ঋণের সুদ পরিশোধে বেশি অর্থ ব্যয় করছে। এটি পদ্ধতিগত ঝুঁকির চেয়ে বেশিকিছু। এটি একটি পদ্ধতিগত ব্যর্থতা।’
গুতেরেসের এমন সতর্কবার্তার পর ক্রমবর্ধমান ঋণ সমস্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইউএনসিটিএডি।
ইউএনসিটিএডি বলছে, অন্তত ১৯টি উন্নয়নশীল দেশ শিক্ষা খাতের চেয়ে সুদ পরিশোধে বেশি অর্থ ব্যয় করছে। অন্য ৪৫টি দেশ স্বাস্থ্য খাতের চেয়ে সুদ পরিশোধে বেশি অর্থ ব্যয় করছে। বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ গুরুতর ঋণ সমস্যায় জর্জরিত।
এর কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থায় নিহিত বৈষম্যকেই দায়ী করেছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চারগুণ এরং ইউরোপের ধনী দেশগুলোর চেয়ে আটগুণ বেশি সুদ দিতে হয় আফ্রিকার দেশগুলোকে। আর এসব ঋণের আকার পরিবর্তন করা মুশকিল। কেননা এদের ৬২ শতাংশ বেসরকারি ঋণদাতাদের হাতে, যা এক দশক আগেও ছিল ৪৭ শতাংশ।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সরকারি ঋণের পরিমাণ দাড়ায় ৯২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।