ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ অগাস্ট, ২০২৩ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২০৩ বার
বাঙালির শৈশব মানেই বড়দের মুখে ঠাকুরমার ঝুলির গল্প শোনা। কতই না মধুর ছিল সেইসব দিনগুলো। এখন আর সেই রকম দেখা যায় না। এখনকার বড়রা গল্প শোনানোর সময় পান না বা সময় পেলেও শোনার জন্য কাউকে খুঁজে পান না। এখন সবাই সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত।
কেউ একটু সময় পেলেই টিভিতে সিরিয়াল দেখছে, কেউবা মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটাচ্ছে, কেউবা মোবাইলে গেম খেলছে। তাই, ব্যস্ততার কারণে গল্প শোনানো কিংবা শোনার সময় না পেলেও শিশু বয়স থেকেই শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বইসহ অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে শিশুর সুপ্ত সত্তার বিকাশ ঘটে, মননশীলতার ব্যাপ্তি ঘটে ও জ্ঞানের গভীরতা বাড়ে।
পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি কবিতা, গল্প, শিশুতোষ উপন্যাস, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি পড়লে শিশুমনের একঘেয়েমি দূর করে এবং পঠন পাঠন দক্ষতা বৃদ্ধি পায় যা প্রতিটি শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুদ্ধ, সুন্দর ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। বই পড়লে শুধু মেধা ও প্রজ্ঞাই বৃদ্ধি পায় না, বরং বই পাঠে শিশুরা হয়ে ওঠে প্রাণচঞ্চল, সহনশীল ও সহমর্মী। প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বই পড়ার অভ্যাসটি রপ্ত করা উচিত।