ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৭৩ বার
২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে এ তালিকায় স্থান পাবে ইন্দোনেশিয়াও। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনটি বলছে, বাংলাদেশের বাজারের আকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গাড়ির কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি করা হয়েছে মূলত চীনের বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন দেশগুলো আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে, তার সম্ভাবনার নিরিখে। সে হিসেবে চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে যে দেশগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারে, সে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বাদশ। এর আগে ২০১৩ সালেও এমন একটি র্যাঙ্কিং করা হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫২তম।
এই ক্রমতালিকার একটি উপবিভাগ বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। সেই হিসেবে প্রথম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এরপর রয়েছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিশর, ভারত ও তানজানিয়া।
যেসব দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বেশি এবং ঝুঁকি কম—এ উপবিভাগে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। এরপর আছে যথাক্রমে কম্বোডিয়া, কলম্বিয়া, মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল।
সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগের হিসাবে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এ তালিকায় প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর; এরপর আছে যথাক্রমে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো, মিশর।
এ ছাড়া বিনিয়োগের যেসব গন্তব্য দেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি, সেই দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এ তালিকায় সবার ওপরে আছে ভারত; এরপর আছে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ব্রাজিল ও তাইওয়ান।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এক দশকে এদেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর আকার পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাই অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরাই এ বাজার ধরতে চান।