আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৪:৫৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১২৫ বার
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, জাতিসংঘের কাজে গতি আনার জন্য তার সংস্কার প্রয়োজন। এবিষয়ে দ্রুত আলোচনা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা করতে উঠতে মঞ্চটির আমূল পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘের সংস্কার প্রয়োজন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ভবিষ্যৎ সংস্কার নিয়ে একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেয়ারবক বলেন, এবিষয়ে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে এবিষয়ে আলোচনায় তিনি সম্মত হয়েছেন।
জি-৪ এর দেশগুলির সঙ্গে একটি বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন বেয়ারবক। ভারত, ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপানকে জি-৪ দেশ বলা হয়। এরা সকলেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হতে চায়। এজন্য একে অপরকে সাহায্যও করে দেশগুলি। তাদেরই বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে দেশগুলির প্রতিনিধিদের।
এদিকে তাইওয়ান নিয়ে ফের কার্যত হুমকি দিয়েছে চীন। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান জেং। বক্তৃতায় তিনি বলেন, তাইওয়ান নিয়ে চীনের ভাবাবেগকে ছোট করে দেখলে ভুল হবে। চীন এখনো তাইওয়ানকে নিজের দেশের সঙ্গে জুড়ে নিতে চায়।
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বলপ্রয়োগ করে নয়, বেজিং চায় শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় তাইওয়ানকে মূল দেশের সঙ্গে যুক্ত করতে। সে আলোচনা চলছে। তার কথায়, চীনের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা নিয়ে দেশের মানুষের ভাবাবেগ সাংঘাতিক। তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে ভুল হবে।
সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-বুরহান এই সভায় যোগ দিয়েছেন। জাতিসংঘকে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত সুদানের লড়াই শেষ হবে না। আধা সামরিক বাহিনীর প্রধানকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, দেশের সেনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তিনি। ফলে তারা না থামলে সেনার পক্ষেও যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়।
২০২১ সালে বিদ্রোহের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছিলেন বুরহান। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘোষণা করেছে আধা সামরিক সেনার প্রধান। জাতিসংঘের বক্তৃতায় বুরহান বার বার বলেছেন যে, বিদ্রোহীদের বাইরে থেকে সমর্থন করা হচ্ছে। যদিও কোন দেশের দিকে তিনি আঙুল তুলছেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে ভাগনার সেনার নাম প্রকাশ্যে বলেছেন।