ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২২৮ বার
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে সিরাজগঞ্জে ৩ দফায় যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, হুড়া সাগর ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলসহ সব ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে এই জেলার ২০৪ হেক্টর জমির প্রায় ৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তিন দফায় পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয় এই জেলার নিম্নাঞ্চল। যমুনা নদী চর অধ্যুষিত সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর এবং চলবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলার অন্তত ৪২টি ইউনিয়নের ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয় কৃষি ও কৃষকের। রোপা আমন, বোনা আমন, আমনের বীজতলা, আগাম শীতকালীন সবজি, আউশ, মাসকালাই, কলা ও আখসহ বেশ কয়েকটি ফসলের বেশি ক্ষতি হয়।
চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজিপুর উপজেলার ফসল। এক উপজেলাতেই ১১১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
এ সব জমি প্রস্তুত করা, বীজ লাগানো, সার ও কীটনাশক কিনে জমিতে দেওয়া এবং শ্রমিক বাবদ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৪ হাজার ১৫১ জন কৃষকের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় মূলধন সংকটে পড়েছেন তারা, এমনই বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর দুই মাসে দফায় দফায় যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়ে ৯৫২ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ২০৪ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনা সম্ভব হবে।