ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ভাই-ভাবিকে দায়ী করে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা 

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:১২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪৩ বার


ভাই-ভাবিকে দায়ী করে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা 

চিরকুটে বড় ভাই ও ভাবিকে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে নিজ দোকানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কুমাব দেব নামে এক ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মৃধা।


মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর সরিষাকোল মাদরাসা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত প্রদীপ কুমার ওই বাজারের প্রদীপ স্টোরের মালিক ও দুর্গাদহ গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন দেবের ছেলে।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে প্রদীপ কুমারের সঙ্গে তার বড় ভাই ষষ্ঠী কুমার দেবের জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ষষ্ঠী কুমার নিজে ও এলাকার প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় প্রদীপ কুমারের বসতঘর ভাঙার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছিল। মঙ্গলবার সকালে প্রদীপ কুমার বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হয়। দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি না যাওয়ায় স্বজনরা তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বিকাল ৫টায় এক ব্যক্তি প্রদীপ কুমারের দোকানের শাটার বন্ধ দেখতে পান, কিন্তু শাটারে তালা লাগানো ছিল না। পরে তিনি শাটার তুলে দোকানে প্রবেশ করে সিঁড়ির ওপরে প্রদীপ কুমারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তার ডাকাডাকিতে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ প্রদীপ কুমারের ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ফেলেন। এ সময় প্রদীপ কুমারের পরনের শার্টের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, সেখানে ‘আমার মৃত্যুর জন্য বড় ভাই ও ভাবি দায়ী’ একই কথা মোট ৮ বার লেখা ছিল। চিরকুটে প্রদীপ কুমারের স্বাক্ষরও ছিল।

প্রদীপ কুমারের স্ত্রী চম্পা রানী অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাসুর ও তার স্ত্রী ষড়যন্ত্র করে আমাদের ঘর ভাঙার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে আমার স্বামী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল, তাদের অত্যাচারে তিনি রাতে ঘুমাতেও পারতেন না। এ কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, প্রদীপ কুমার বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। একইসঙ্গে তাদের এজমালি বাড়ির বাটোয়ারার কারণে তার বসতঘর ভেঙে অন্যত্র সড়ানোর কথা ছিল। এই বিষয়গুলো নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, তার পকেটে যে চিরকুট পাওয়া গেছে বড় ভাই ও ভাবিকে অভিযুক্ত করে সেই রকম কোনো ঘটনার প্রমাণ আমরা পাইনি। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।


   আরও সংবাদ