ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ইউএনও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ না রাখায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, ইউএনও কে ওএসডি 

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:১৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩০৩ বার


ইউএনও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ না রাখায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, ইউএনও কে ওএসডি 

হারুনুর রশিদ, স্পেশাল প্রতিনিধ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন রাখায় দ্বিতীয় স্ত্রীর সড়কে প্রতিবাদের অভিযোগে ইউএনওকে  ওএসডি করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদে নিয়োগ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

 

জানা গেছে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ত্রীর অধিকার পেতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন জিনাত আরা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা। তিনি দিনাজপুরের কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক বলে নিজেই জানিয়েছেন।

 

ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিনাত আরা খাতুন সন্তান নিয়ে ইউএনওর কার্যালয়ে যান। এসময় তার পরিবারের লোকজন সঙ্গে ছিলেন। সেখানে হৈচৈ শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউএনও জিনাতের মোবাইল কেড়ে নিয়ে আনসার সদস্যদের দিয়ে হেনস্তা করে বাইরে বের করে দেন। তখন জিনাত ইউএনওর কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে বাস থামিয়ে অনশন শুরু করেন। এসময় কিছুক্ষণ ধীর গতিতে যান চলাচল করে। এ নিয়ে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনার পর ইউএনওর স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বসে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন এবং সুবিচার করার প্রতিশ্রুতি দেন।

 

জিনাত আরা খাতুনের দাবি, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউসে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়। আরেকটি সন্তান গর্ভেই নষ্ট করতে বাধ্য করেন ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম। চলতি মাসের ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনও একতরফা তালাক দেন, এটি তিনি জানতেন না। সব মাধ্যম থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সন্তানকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে এসে অবস্থান নেন।

 

এর আগে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেছিলেন, সে (জিনাত আরা খাতুন) ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল। এখন আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। সে সিনক্রিয়েট করার জন্য এখানে এসেছিল। এটা ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। আমি আইনগতভাবে সমাধান করেছি।


   আরও সংবাদ