ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩২ বার
বছর যেতে না যেতেই বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকায় নির্মিত উপকূলীয় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দিনে দিনে মিলিয়ে যাচ্ছে সাগর বুকে। বিদ্যমান বাঁধটুকুও ক্রমেই অস্তিত্ব হারাচ্ছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।
বাঁধে ভাঙনের জন্য নিম্নমানের ব্লক ব্যবহারের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, সাঙ্গু নদের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে সাঙ্গু নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চর স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। আর নতুন গতিপথে স্রোত এখন সরাসরি আঘাত হানছে বেড়িবাঁধে। প্রবল স্রোতের ধাক্কায় বাঁধের কিনারাতে তৈরি হচ্ছে গভীর খাড়ি (কূপ)। তা ক্রমশ বেড়িবাঁধে আঘাত হানছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকার মধ্যবর্তী দুটি স্থান ধসে গিয়ে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ সাগরে মিলিয়ে গেছে। বাঁধের যেটুকু টিকে আছে তাতে বিশালাকার ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নিচের দিকে ক্রমশ দেবে যাচ্ছে।
ভারী কোনো জোয়ার এলেই বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু পুরোপুরি সাগরে মিশে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে জিও ব্যাগ ফেলে বিষয়টি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে পাউবো। তবে, এই জিও ব্যাগ ভাঙন কতটা ঠেকাতে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দিহান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলছেন, খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকার বেড়িবাঁধের অবস্থা ভয়াবহ। বড় জোয়ার এলেই প্লাবিত হবে গোটা ইউনিয়ন। এলাকার মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ভীতি কাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ সাঙ্গু নদীর মোহনায় জেগে ওঠা ওই চর। এটা ড্রেজিং করা না হলে এই ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।