ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:১১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩১ বার
অবশেষে কমতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম। রোববার (০১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০টাকায়।
এছাড়া পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। দেশি পেঁয়াজের দাম যেখানে হওয়ার কথা ছিল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। সেখানে কারওয়ান বাজারে পাইকারিতেই বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়। আর অন্যান্য খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।
আবার সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। এখনো কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া, ডিম, মুরগি, তেল, চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়ে স্থিতিশীল রয়েছে বলে দেখা গেছে।
গত শুক্রবার হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গিয়ে কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। আমদানি বন্ধের অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারি ছুটি শেষে আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমতির দিকে বলে জানান তারা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মালিবাগ ও মগবাজার এবং খিলগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচামরিচের সরবরাহ কম। তাতে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গতকাল তা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা শেষ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছায়।
জানা গেছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া কাঁচা মরিচ আমদানি করা যায় না। গত ঈদুল আজহার আগে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেলে সরকার ২৫ জুন আমদানির অনুমতি দেয়। ব্যবসায়ীরা আমদানি করা কাঁচামরিচের পুরোটাই আনছেন ভারত থেকে।
চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ঠিক কী পরিমাণ মরিচ আমদানি করা হয়েছে; তার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিযেছে, গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) পুরো সময়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছিল ২ হাজার ২১ টন। এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) আমদানি করা হয় ৭ হাজার ৪৬৭ টন কাঁচা মরিচ।
এর আগে গত ঈদুল আজহার ঠিক পরপর কাঁচা মরিচের দর প্রতি কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তারপর ধীরে ধীরে দাম কমে আসে।