ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৫১ বার
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না উপকূলের আমন চাষিদের! আবাদের শুরুতে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে বীজ নষ্ট হওয়ার পর এখন ক্ষেতেই মাজরা পোকার আক্রমণ! লালচে বর্ণ ধারণ করে মরে যাচ্ছে শত শত একর জমির রোপা আমন। এ পরিস্থিতিতে চাষিরা কী-বা খাবেন, আর কী দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন! সবমিলে এখন দিশেহারা অবস্থা পটুয়াখালী রাঙ্গাবালির কৃষকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোপা আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ। জৌলুস হারিয়ে এখন বিবর্ণ বিস্তীর্ণ মাঠের ফসলের রূপ। মাজরা পোকা ফসলের কাণ্ডের ভেতর থেকে খাওয়া শুরু করে। যার কারণে বেড়ে উঠেতে পারে না ধানের চারা। লালচে বর্ণ ধারণ করে মরে যাচ্ছে শত শত এক জমির রোপা আমন। কোনো কোনো ক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগ করেও থামানো যাচ্ছে না পোকার আক্রমণ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় পচে যায় হাজার হাজার একর জমির বীজতলা ও রোপা আমন। এর পর আবার মাজরা পোকা নিয়ে নতুন বিপদ! একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আমন চাষিরা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও এখন শঙ্কিত।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালিতে মাজরা পোকার আক্রমণে মাঠে পচে যাচ্ছে রোপা আমনের চারা। ছবি: সময় সংবাদ
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, মাজরা পোকায় আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে ফসলের খরচ উঠানো দূরের কথা, মুশকিল হয়ে পড়েছে আমাদের টিকে থাকাই!
তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হওয়ায় তেমন সংকটের মুখে পড়তে হবে না বলছে পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এর উপ-পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, ‘কৃষকরা আমাদের পরামর্শমতো কাজ করেছে। তবে আল্লাহর রহমতে আমাদের গত ১০-১২ দিনের যে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে; এতে মাজরা পোকা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসছে। আশা করি আমাদের এ মাজরা পোকা আক্রমণে এ বছর আমনের তেমন ক্ষতি হবে না।
এখনো যে সময় আছে, তা কাজে লাগিয়ে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমন উৎপাদনে দেশের চতুর্থ বৃহৎ এ জেলা। এ বছর এ জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ বেশি হয়েছে।