ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিক

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩৫ বার


ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিক

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই কথিত সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশ একটি ভুয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার পরিচয়পত্রসহ চারটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করেন।

 

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদেরকে সোর্পদ করা হবে বলে জানিয়েছেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাগাজী ফরদার বাড়ির মফিজ উল্যার ছেলে গোলাম মোস্তফা বুলবুল (৪৪) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার সুলতানের বাড়ির মো. শাহজাহানের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম সোহাগ (৩৮)।

 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শহীদ ডিলার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি বুলবুল নিজেকে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির নোয়াখালী প্রতিনিধি ও সোহাগ নিজেকে দৈনিক বিজয় বাংলাদেশের নোয়াখালী প্রতিনিধি পরিচয় দেয়। সোমবার সন্ধ্যার দিকে বুলবুল ও রিয়াজুল কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে যায়। এক পর্যায়ে ওই বাজারের সারের ডিলার শহীদের দোকানে গিয়ে তারা নিজেদের ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সারের দাম জানতে চায়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পুলিশকে তারা নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে কয়েকটি পরিচয়পত্র দেখান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরও বলেন, এই চক্র গত কয়েক মাসে উপজেলার ১৫-২০ জন ব্যবসায়ীর কাছে নিজেদের সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে।

 

নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রেসক্লাবের কোনো সদস্য বা এর বাহিরেও কোনো সাংবাদিক যদি সাধারণ জনগণকে হয়রানি ও প্রতরণার সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা নেওয়া হয়েছে।


   আরও সংবাদ