ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:১২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৭২ বার
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যমতে, প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোগী চোখের বিভিন্ন সমস্যায় শুধু এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নেন। তাদের তথ্য বলছে, দেশের এক কোটি ৪৩ লাখ লোক দৃষ্টিত্রুটিতে ভুগছেন এবং দিন দিন চোখের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অসচেতনতা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, স্মার্টফোন-ট্যাবের মতো গ্যাজেটে আসক্তি, এরকম নানা কারণে অল্প বয়স থেকেই চোখের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আজ (১২ অক্টোবর) বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অন্ধত্ব এবং চোখের বিকলতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে এই দিবস পালন করা হয়। ২০০০ সালে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘সাইট ফার্স্ট ক্যাম্পেইনের’ ফলশ্রুতিতে এই দিবসের শুরু হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কর্মক্ষেত্রে চোখের যত্ন নিন’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে মানুষ যেসব কারণে দৃষ্টিশক্তি হারায়, তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসের কারণে চোখে যে সমস্যা তৈরি হয় তার নাম ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’। চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস চোখের সব অংশের তুলনায় রেটিনার বেশি ক্ষতি করে। যার যত বেশি দিন ধরে ডায়াবেটিস রয়েছে, তার রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি।
ডায়াবেটিস চোখের ছোট ছোট রক্তনালীর ক্ষতি করে। ফলে রক্তক্ষরণ হয়। রক্তনালী থেকে চর্বিজাতীয় জিনিস অর্থাৎ কোলেস্টেরল ও লিপিড বের হয়ে আসে। একই সঙ্গে রেটিনার বিভিন্ন স্তরে জমা হয় তরল পদার্থ। সবকিছু মিলে রোগী ধীরে ধীরে কম দেখতে শুরু করে। কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে কম দেখা বা ক্ষীণ দৃষ্টি এক ভয়ংকর সমস্যা। এতে পড়তে সমস্যা হয়, কম্পিউটারে দেখতে সমস্যা হয়, এমনকি লিখতেও ঝামেলা হয়। একপর্যায়ে রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয় এবং রেটিনা ছিঁড়েও যেতে পারে। সার্বিক চিকিৎসা না হলে এই রোগী ধীরে ধীরে অন্ধত্ব বরণ করে।
এছাড়া ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী এই একই সমস্যায় ভুগতে পারেন।