ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৮৩ বার
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে মূলধন সংরক্ষণসহ খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে কঠোর বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।রোববার (১৬ আক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সাত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই বার্তা দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে। এর মধ্যে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ৭টি প্রতিষ্ঠান। সমস্যা সমাধানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা দ্রুত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে দ্রুত পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। যাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ কমে আসে।
বৈঠকে সাত প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ কোম্পানির মূলধন সংরক্ষণ পরিকল্পনা জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়। শিগগিরই বাকি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনার আওতায় নিয়ে আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, একেকটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা এক এক রকমের। তাই সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা তাদের কাছ থেকে আসা উচিত। তবেই সঠিক সমাধান পাওয়া যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নতি দেখতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে ২৭ আগস্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডিদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সভায় জানানো হয়, দেশের ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টিতে খেলাপি ঋণ ৩২ শতাংশের বেশি। এ পরিস্থিতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের নির্দেশ দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ-জুন এই ৩ মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ ২ হাজার ৯৬ কোটি টাকা বা প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। এই খাতে জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ছিল মোট ঋণের ২৫ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ছিল ১৭ হাজার ৮৫৫ কোটি ।