ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বিয়ে বাড়িতে সামাজিক চাঁদা নিয়ে সংঘর্ষ, বরসহ আহত ১৭

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:০৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১২৩ বার


বিয়ে বাড়িতে সামাজিক চাঁদা নিয়ে সংঘর্ষ, বরসহ আহত ১৭

বান্দরবানের লামায় বিয়ে বাড়িতে সামাজিক চাঁদা নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বরসহ ১৭ জন আহত হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে। ঘণ্টা-ব্যাপী মারামারিতে বর, কনের বাবা-মা, সমাজের সর্দারসহ তিন পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব শিলেরতুয়া গ্রামে কনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

 

খবর পেয়ে লামা থানা পুলিশের ২০ জনের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ সময় পুলিশ একে একে আহতদের উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

 

কনের বাবা মো. হাসান ও পাশের বাড়ির মোবারক হোসেন জানান, আলীকদম উপজেলা সদরের বাজার পাড়া এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে নাজুমল ইসলামের সঙ্গে তার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের (১৮) বিয়ে ঠিক হয়। এদিন পূর্ব শিলেরতুয়া মেয়ের নানার বাড়ীতে অনুষ্ঠান করে মেয়েকে তুলে দেওয়া হচ্ছিল। মেহমানদের আপ্যায়ন চলাকালে সামাজিক চাঁদা নিয়ে বর ও কনেপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ৬০ থেকে ৭০ জন হামলা করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

শিলেরতুয়া নয়াপাড়ার বাসিন্দা খতিজা বেগম বলেন, আলীকদমের মেহমানদেরকে শিলেরতুয়া গ্রামের লোকজন নৃশংসভাবে মেরেছে।

 

আহতরা হলেন, বর নাজমুল হোসেন (২১), কনের বাবা মো. হাসান (৫০), মা সালমা বেগম (৪০), সর্দার আব্দুল মন্নান (৪৮), এলাকার মুরুব্বি মো. রফিক (৪২), সাইফুল ইসলাম (৫২), বর পক্ষের মো. বাদশা মিয়া (২৫), মো. রবিউল (১৭), ঈমাম মেহেদী (১৮), মো. এরফান (২২), ইমরান (১৮), মোজাম্মেল (২১), সাঈম (১৭) মনি আক্তার (৫০), রেজিয়া বেগম (৬৫) ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার মো. ইউসুফ (৩০), মো. আবু দাউদ (৪০)।

 

কনের মা সালমা বেগম বলেন, এলাকার সবাই ডাকাত। এলাকার সবাইকে দাওয়াত দিতে পারি নাই বলে এই ঘটনা ঘটেছে। কনে পক্ষের অভিযোগ হামলাকারী ভাংচুরের পাশাপাশি বিয়ের মালামাল ও মেয়েদের গায়ের স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে।

 

আহত মো. রফিক বলেন, সমাজের চাঁদা নিয়ে কথা হচ্ছিল। সামান্য বিষয় নিয়ে বর পক্ষের লোকজন বড় ভাই সর্দারের গায়ে হাত তোলে। আমাদের তিনজনকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পরে এলাকার লোকজন শুনে কি করেছে আমরা জানি না।

 

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেন, আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষ থেকে ৯ জনকে থানায় নিয়ে এসেছি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরে কনে কে তার বাবা মায়ের উপস্থিতিতে নিরাপদে বরের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় এবং তারা নতুন বউকে নিয়ে চলে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন থানায় মামলা করলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


   আরও সংবাদ