ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

হুমায়রা হিমুর লাশের সুরতহাল শেষে কী বলল পুলিশ

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৪৭ বার


হুমায়রা হিমুর লাশের সুরতহাল শেষে কী বলল পুলিশ

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। অভিনেত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থকালেও গলায় রশির দাগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে একই দাবি করেছিলেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানও।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে অভিনেত্রীর লাশের সুরতহাল করেন উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মাসুদা খাতুন।

সুরতহাল শেষে তিনি বলেন, অভিনেত্রীর পরিচিতরা তাকে হাসপাতালে এনেছিল। আমরা তাকে হাসপাতালেই পেয়েছি। এখানেই আমরা প্রাথমিকভাবে হুমায়রা হিমুর লাশের সুরতহাল করেছি। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না, তবে তার গলায় রশির দাগ পাওয়া গেছে। সম্ভবত তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
 
তিনি আরও বলেন, অভিনেত্রীর মৃত্যুর আসল কারণ চিকিৎসক বলতে পারবেন। তাই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
 
এর আগে অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর জানান, মেকআপম্যান মিহির ও অভিনেত্রীর বন্ধু তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অভিনেত্রীর গলায় দাগ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তা নিতে চাইলে অভিনেত্রীর বন্ধু পালিয়ে যান।
 
ধারণা করা হচ্ছে, হুমায়রা হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান জানান, হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত নয়।
 
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসলটা জানা যাবে। হিমুর বাবা-মা নেই। তার আত্মীয় স্বজনদের খবর দিলে তারা এখানে এসেছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া শুক্রবার চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বাদ জুম্মা জানাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
 
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিমুর মরদেহ রেখেই পালিয়ে যায় অভিনেত্রীর সেই বন্ধু। পুলিশ মিহিরকে (অভিনেত্রীর মেকআপ আর্টিস্ট) সঙ্গে নিয়ে হিমুর সেই বন্ধুকে খুঁজছে।
 
২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো: জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমায়রা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। 

হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্যদলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।


   আরও সংবাদ