ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:০৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪৪ বার
আলোচিত ব্যবসায়ী হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হককে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘পুলিশের হেফাজতে রিহ্যাব সেন্টারে (পুনর্বাসন কেন্দ্রে) আছেন আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী। মানসিক ভারসাম্যহীন হলে আমাদের কিছু করার নেই। আর তা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তাহলে এর পেছনে কারা জড়িত, তা তদন্তে বের করা হবে।’
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টোরেডে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া রমনা থানায় তার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু রয়েছে। সবকিছু মিলে গতকাল গ্রেফতার করেছি। আদম তমিজী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে বিভিন্ন ধরনের অসংলগ্ন কথা বলেছেন। তিনি যে দেশে খেয়ে পড়ে মানুষ হয়েছেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে দেশে আছে সেই দেশেরই পাসপোর্টটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে পুড়িয়ে ফেলেছেন।’
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তিনি ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করার জন্য। মার্কিন মেরিন সেনাকে বলছেন সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাকে উদ্ধার করার জন্য। আরও বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, সেটিও আপনারা দেখেছেন।’
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আসলে এসব কথা শুনে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, আসলেই তিনি কী মানসিক ভারসাম্যহীন। তা না হলে একটি লোক এভাবে কথা বলে কেন? তিনি অনেকগুলো বিয়ে করেছেন, পারিবারিক অনেক সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন কারণেই মনে হয়েছে তিনি ভারসাম্যহীন। কিন্তু এটা তো আমরা বলতে পারছি না। তিনি যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকেন সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আদম তমিজীকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছি। সেখানে ডাক্তাররা আছেন। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি যদি মানসিকভাবে ঠিক থাকেন তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তিনি যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অসংলগ্ন কথা বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করেছেন সেগুলো কেন করেছেন।’
যদি ডাক্তাররা বলেন পুরোপুরি ভারসাম্যহীন কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যদি করে থাকেন তাহলে এর পেছনে কেউ আছেন কি না, সেটা তদন্ত করে বের করব বলে জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এর আগে, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে আদম তমিজী হককে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, আদম তমিজী হক বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক। গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুক লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে এবং নিজ দল আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। পরে তাকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অবশ্য এরপর নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে ক্ষমা চান আদম তমিজী হক। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কাজ করেছেন, যা একদমই উচিত হয়নি। তিনি বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসেন।’