ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বিজয়ের দিনে মেয়েদের ইতিহাসগড়া জয়

স্পোর্টস ডেস্ক


প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪৬ বার


বিজয়ের দিনে মেয়েদের ইতিহাসগড়া জয়

বিজয়ের দিনে ইতিহাস গড়ে প্রোটিয়াদের মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে জয়ের স্বাদ নিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ব্যাট হাতে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি মুর্শিদা খাতুন। তাতে অবশ্য তার আক্ষেপ নেই। কেননা ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার আড়াইশ ছোয়া সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর দুর্দান্ত বোলিংয়ে সাউথ আফ্রিকাকে দেড়শর আগেই আটকে ফেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। যার সুবাদে প্রোটিয়াদের মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে জয়ের স্বাদ নিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্ক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মুর্শিদা খাতুনের ১০০ বলে অপরাজিত ৯১ রানে ভর করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পুঁজির রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৫০ রান তোলে টাইগ্রেসরা। পরে বোলিংয়ে নেমে প্রোটিয়া ব্যাটারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মাতলেন নাহিদা-ফাহিমারা। বাংলাদেশের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডার। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১৩১ রানে। ১১৯ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের স্পিনারদের সামলানো। সেখানেই ব্যর্থ হয় প্রোটিয়ারা। ২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন সুলতানা খাতুন। ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরে দলটির অধিনায়ক লরা উলভার্ট। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনারকে ফেরায় মারুফা আক্তার। ৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সুনে লুস এবং অ্যানেকে বচের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা।

বচ ও লুস যথাক্রমে ১৬ ও ৩১ রানে আউট হলে প্রোটিয়াদের চেপে ধরেন রাবেয়া ও ফাহিমা। তারা দুজনে ৪ উইকেট নিলে ৯৫ রানে ৮ উইকেট হারায় স্বাগতিক মেয়েরা। শেষদিকে এলিজ–মারি–মার্কস ও মাসাবাতা ক্লাসের জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। এর আগে, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা আর ফারজানা হক মিলে যোগ করেন ৬৬ রান। মার্ক্সের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৪ রান করেন শামিমা আর ফারজানার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।

ফারজানার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জ্যোতি। মুর্শিদার সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন তিনি। যেখানে জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৩৮ রান। শেষদিকে স্বর্ণা এসে রানের গতি বাড়িয়েছেন আরও অনেকটা। ২৮ বলে ২৭ রান করে স্কোর ২৫০ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান তিনি। ১০০ বল খেলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন মুর্শিদা।


   আরও সংবাদ