আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪৯ বার
ভূমধ্যসাগরের লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ৬১ জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব অভিবাসীর মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বরাত দিয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি শনিবার বলেছে, নৌকাটি প্রায় ৮৬ জন আরোহী নিয়ে জুওয়ারা শহর ছেড়েছিল। যাত্রা করার পর উচ্চ ঢেউ নৌকাটিকে ডুবিয়ে দেয় এবং শিশুসহ ৬১ জন অভিবাসী নিখোঁজ হন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের কাছে প্রধান প্রস্থান পয়েন্টগুলোর মধ্যে লিবিয়া অন্যতম। আইওএম বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার সময় শুধুমাত্র এই বছর ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মানুষ ডুবে গেছে।
মূলত উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসীদের উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় প্রাণহানির বিষয়টি অনেকটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা লিবিয়ার এই রুটটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটগুলোর একটি করে তুলেছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) আরও বলেছে, নৌকাডুবির সর্বশেষ এই ঘটনার শিকার অভিবাসীদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে এসেছিল।
সংস্থাটি বলেছে, দুর্ঘটনার পর ২৫ জন জীবিত ব্যক্তিকে লিবিয়ার একটি আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এসব অভিবাসীদের কেউ কেউ দ্বন্দ্ব বা নিপীড়ন থেকে পালিয়েছেন। আবার অনেকে কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে এ বছর ১৫৩,০০০ এরও বেশি অভিবাসী ইতালিতে এসেছে।
সূত্র: বিবিসি