ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৫০ বার
বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পক্ষে নারীদের ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে।
বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মীর হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে ভোট কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্যানেল মেয়র মীর হাবিবুর রহমান।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি কক্ষের দেওয়ালে নির্বাচনি ব্যানার সাঁটানো বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ধীরেন্দ্র শম্ভুর। হাতে টাকা নিয়ে সেই ব্যানারের দিকে পিঠ রেখে দাঁড়ানো আমতলী পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মীর হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পুরুষ। তাদের সামনে টেবিল। টেবিলের পাশ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে আসছেন নারীরা এবং তাদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন মীর হাবিবুর রহমান। এ সম নৌকার শ্লোগান শুনতে পাওয়া যায় ওই ভিডিওতে। ভিডিওতে মোট ৫৭ জনের হাতে টাকা তুলে দিতে দেখা গেছে মীর হাবিবুর রহমানকে। এদের মধ্যে ৫৪ জন নারী এবং ৩ জন পুরুষ। যদিও প্রত্যেককে কত টাকা করে দিয়েছেন, তা বোঝা যায়নি।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান বলেন, ভিডিওটি আমিও দেখেছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব ছড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে তিনি কালিমা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনিসহ তার লোকজনকে এখনই আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। আমরা একটি অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। এখানে কোনোভাবেই ভোট কেনাকে আমি সমর্থন করি না। এ ঘটনায় জড়িতদের আমি শাস্তির দাবি করছি।
আরেক সতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তার লোকজন কালো টাকার প্রভাব বিস্তার করছেন নির্বাচনি এলাকায়। তিনি টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। যা নির্বাচনি আচরণবিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। এ ঘটনায় আমি শাস্তি দাবি করছি। কালো টাকার প্রভাব বন্ধ করতে আমি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মীর হাবিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিবছর শীতে কম্বল দেই। এ বছর আমি কম্বল না দিয়ে গরীব মানুষকে একশ করে টাকা দিছি। এটা আমার বাসায়। ওইখানে ব্যানার আগে টানানো ছিল। এটা নির্বাচন চলাকালে একটা দুর্নাম। আর এটা করাও যায় না। এটা আমি অবগত ছিলাম না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, একশ টাকা দিয়ে যদি ভোট কেনা যায় তাহলে আর কি বলব ভাই, বলার কোনো ভাষা থাকে না। একশ টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়? স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুযোগ নিচ্ছে। আমি নৌকার সাপোর্ট করি। প্রধানমন্ত্রীর নৌকা, শম্ভু দাদার নৌকা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনও অবগত নই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করব। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।