ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

মান্দায় বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় খুন এক নারী

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি


প্রকাশ: ২২ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৯ বার


মান্দায় বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় খুন এক নারী

 নওগাঁ প্রতিনিধি আব্দুল মালেক 

নওগাঁর মান্দায় বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডের শিকার হন মলিনা বিবি (৫০) নামের এক নারী। দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন পর আসামি

সোনাবর মৃধাকে (৪৫) গ্রেপ্তারের পর এ হত্যাকাণ্ডের  রহস্য উদঘাটন  করে মান্দা থানা  পুলিশ। গ্রেপ্তার সোনাবর মৃধা মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের চকশ্রীকৃষ্ণ গ্রামের মৃত অফির উদ্দিন মৃধার ছেলে।

 

 নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিপু মুন্সীর আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের  দায় শিকার করে জবানবন্দি

দিয়েছেন তিনি। হত্যাকান্ডের শিকার মলিনা বিবি উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের চকদারপাড়া গ্রামের

জিয়ার উদ্দিনের মেয়ে। স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী সতিহাটে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসসহ বাজারের একটি তুলার মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। পাশাপাশি অন্যের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।

 

আসামি সোনাবর মৃধা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, মলিনা বিবির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করার জন্য গত বছরের ৬ জুলাই মলিনা বিবিকে মোবাইলফোনে ডেকে নেয় গ্রেপ্তার সোনাবর মৃধা। এর পর সারাদিন তারা দুজন বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। ওইদিন সন্ধ্যার পর সোনাবরকে বিয়ের জন্য চাপ দেন মলিনা বিবি।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়। পরে বিয়ের কথা বলে ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর পাগলিতলার  কাছে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মলিনা বিবিকে।

মৃত্যু নিশ্চিত করে তার মরদেহ পাগলিতলার পাশে একটি ঘাসখেতে ফেলে আত্মগোপন করে সোনাবর মৃধা। 

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, মলিনা বিবির মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে ক্লুলেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তৎপর ছিল পুলিশ। কিন্তু আসামি সোনাবর মৃধা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ফরিদপুর জেলা কোতয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সোনাবর মৃধা হত্যাকাণ্ডের  দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ জুলাই নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর পাগলিতলার পাশের একটি ঘাসখেত থেকে মলিনা বিবির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মলিনার ছেলে আব্দুল মজিদ বাদি হয়ে মান্দা থানায় একটি

মামলা করেন।


   আরও সংবাদ