ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৪:৫১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪৪ বার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নিজেদের মনোনীত ৪৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (ফেব্রুয়ারি ১৪) বিকেলে গণভবন থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষিত সেই ৪৮ জনের মধ্যে নেই সংস্কৃতি অঙ্গনের কোনো তারকাশিল্পী বা অভিনেত্রীর নাম।
যদিও আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রার্থী হতে গতবারের মতো এবারও এসব শোবিজ তারকাদের অনেকে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে তাদের।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র কেনেন - অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনূর, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, তানভিন সুইটি, মেহের আফরোজ শাওন ও জাকিয়া মুন।
তাদের মধ্যে প্রায় ১২ বছর আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর।
কিন্তু বুধবারের প্রকাশিত তালিকায় ঊর্মিলাসহ তাদের কারও নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে হিসেবে বলা যায়, ভালোবাসা দিবসে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো শোবিজ তারকাদের।
মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র কেনার পর প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী ঊমিলা জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মনোনয়ন পেলে সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজের পরিধিটা আরও লম্বা হবে তার। তাই তিনি এবার আ.লীগ থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।
মনোনয়নপত্র কিনে অভিনেত্রী সোহানা সাবা জানিয়েছিলেন, তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগপন্থি দেশপ্রেমিক। বাবার পথ ধরেই তিনি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন। তাই এবার তিনিও আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চান।
বগুড়া জেলা থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন অপু বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে প্রার্থী হতে চান বলে জানিয়েছিলেন এ চিত্রনায়িকা।
একই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আরেক চিত্রনায়িকা নিপুণ বলেছিলেন, আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া আমিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত। প্রধানমন্ত্রী যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে আমার কথা চিন্তা করবেন।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৫৪৯ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে নারী আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এতে দলটির আয় হয় ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন-
১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়)
২. দ্রোপদী দেবী আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও)
৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী)
৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) - আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক
৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর)
৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
৭. রুনু রেজা (খুলনা)
৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট)
৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা)
১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা)
১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী)
১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ)
১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা)
১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট)
১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) - আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য
১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা)
১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা)
১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) - সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী
১৯. বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ)
২০. শবনম জাহান (ঢাকা)
২১. পারুল আক্তার (ঢাকা)
২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা)
২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) - আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক
২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা)
২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর)
২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) - সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী
২৭. সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা)
২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা)
২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা)
৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী)
৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) - আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য
৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) - আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক
৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) - নির্বাচনে পরাজিত
৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল)
৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা)
৩৬.নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ)
৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) - আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক
৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর)
৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী)
৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম)
৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী)
৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম)
৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি)
৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) - আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত
৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর)
৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী)
৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) - আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক
৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)